সবুজ নগরীকে আরো আধুনিক সাজে সজ্জিত করতে সড়কবাতির সৌন্দয বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নতুন ভার্সন  এলইডি লাইট। সবুজের নান্দনিকতা ও কারুকাজ এসব মিলিয়ে অন্য যে কোনও নগরীর মতোই দৃষ্টিকাড়া শহর এখন রংপুর। আধুনিক সড়কবাতির নগরী এখন রংপুর। পরিচ্ছন্ন প্রশস্ত রাস্তাসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থা। এবার নগরীতে যুক্ত হচ্ছে সুদৃশ্য নতুন ভার্সন এলইডি লাইট। দৃষ্টিনন্দন ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতিগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন-অফ করা হবে। 
সূত্রে জানা গেছে, ১৮৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ মে ৫০.৫৬ বর্গকিলোমিটারে রংপুর পৌরসভার গোড়াপত্তন হয়। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদে রংপুর পৌরসভাকে আনুষ্ঠানিকভাবে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়। এর আয়তন ২০৫.৭০ বর্গ কিলোমিটার। সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড সংখ্যা ৩৩ টি। পুরোনো ও বর্ধিত নতুন ওয়ার্ডগুলোও পাচ্ছে সড়কবাতির সৌন্দর্য। নাগরিক সুবিধা বেড়ে যাওয়ায় খুশি সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।  রিক্সা চালক ও পথচারী আলম আহম্মেদ বলেন, মহানগরীর প্রবেশ দ্বার মর্ডান মোড় থেকে পুরো নগরীতে প্রায় সাড়ে ৬ হাজার বৈদ্যুতিক পোল বসানো হচ্ছে। প্রতিটি পোলে দুটি ও গুরুত্বপূর্ণস্থানে ৩টি করে রয়েছে এলইডি বাল্ব।  পুরোনো ও নতুন মিলে ৩৩টি ওয়ার্ডের নাগরিকরা প্রায় ৮ হাজার ৭শ সড়ক বাতির সুবিধা পাবে।  এইসব সড়কবাতি শুধু আলো আর নিরাপত্তা বাড়াবে তা নয়,সঙ্গে সৌন্দর্য্যও দৃদ্ধি পাবে। 
তরুণ সমাজকর্মী ও সংগঠক মোতালেব হোসেন জানান,সড়কবাতি শুধু নয় মুল সড়ক প্রশস্ত করে উভয়পাশে আরসিসি ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন রোডডিভাইডার।
রংপুর সদর উপজেলার চন্দনপাঠ থেকে আসা পথচারী আমিনুর রহমান বলেন, আজ থেকে ১০ বছর আগের রংপুর আর এখনকার রংপুর অনেক পার্থক্য। ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সিটি মেয়রকে। রংপুর নগরী আধুনিক দৃষ্টিনন্দন এ সড়কবাতিগুলো স্থাপনের ফলে নাগরিক নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটবে। রাত্রিকালীন গাড়ি চলাচলে গতির সঞ্চার হবে। আলোকায়নের জন্য সড়ক আইল্যান্ডে বাসনো হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন লাইট ও পোল।  প্যানেল মেয়র মাহামুদুর রহমান টিটু বলেছেন,আধুনিক মডেলের দৃষ্টিনন্দন এলইডি বাল্ব ও পোল সংযোজন সম্পন্ন করতে ব্যয় হচ্ছে ৪৯ কোটি টাকা। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কাচারীবাজার, চেকপোষ্ট, লালবাগ, শাপলা, জাহাজকোম্পনীর মোড়, পায়রা চত্বর,সিটি বাজার,বাংলাদেশ ব্যাংক, মেডিকেল মোড়সহ প্রতিটি সড়কেই শোভা পাবে দৃষ্টিনন্দন সড়কবাতি।  রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মো: মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে সাধারন মানুষের দোরগোড়ায় তদের নাগরিখ সেবা পৌচ্ছে দেওয়ার জন্য আমার এটা চ্যালেজ ছিল। তারি ধারাবাহিগতায়  আজকে কিন্তু  রাস্তা-ঘাট থেকে ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও  বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে উন্নয়ন সব কিছুই আমি নাগরিক সেবা পৌচ্ছে দিতে চাই।  রংপুর নগরী সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। আর বাকি যে লিংক রোড় গুলো আছে সে গুলোও  আগামী ৬ মাসের মধ্যে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।  আমি কাজে বিশ্ববাসী।  এই নগরীতে আমার জন্ম। আমি নগরীর উন্নয়ন কাজ অবাহত থাকবে।  আজকে নতুন সড়কবাতিতে পুরো নগরীতে প্রাণ ফিরেছে।  নাগরিক সুবিধার মান আরো বাড়বে বলে মনে করেন নগরের বাসিন্দারা।  আধুনিক বসবাসযোগ্য সুন্দর পরিচ্ছন্ন সবুজ নগরীকে আরো আধুনিক সাজে সজ্জিত করতে যোগ হলো একটি নতুন মাত্রা। 

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ