প্রতিষ্ঠার ৫৭ বছর পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব চালু হয়েছে। এ ছাড়াও এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি, রিং পরানো, পেসমেকার স্থাপনসহ হৃদরোগের জটিল ও উন্নত চিকিৎসা সেবা এখন থেকে পাওয়া যাবে এখানে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের মিলনায়নে কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব উদ্বোধন করা হয়। হাসপাতালে কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব চালু করায় হৃদরোগে আক্রান্তদের মৃত্যুর হার অনেক কমবে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। ক্যাথল্যাব সুবিধা চালু হওয়ায় দারুণ খুশি রোগী ও তাদের স্বজনরা। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক রোগি আসে হৃদরোগের নানা সমস্যা নিয়ে। কিন্তু তাদের বেশির ভাগই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করতে হয়। ঢাকায় নেয়ার পথেই অনেক মুমূর্ষু রোগীর প্রাণহানি ঘটে। এমন অবস্থায় এই হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে আটটি বেড নিয়ে প্রথমবারের মতো চালু হচ্ছে কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব। এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি, প্রয়োজনে রিং পরানো ও পেসমেকার স্থাপনসহ হৃদরোগের জটিল ও উন্নত চিকিৎসা সেবা এখন থেকে পাওয়া যাবে এখানে। এতে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর হার অনেক কমবে বলে মনে করেন এই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ। ক্যাথল্যাব সুবিধা চালু হওয়ায় দারুণ খুশি রোগী ও তাদের স্বজনরা। এতে হৃদরোগে আক্রান্তদের চিকিৎসায় অর্থ ব্যয় ও হয়রানি কমবে বলে মনে করেন তারা। এদিকে ক্যাথল্যাব মেশিন স্থাপনসহ যাবতীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান ক্যাথল্যাব ইউনিটের সমন্বয়কারী। প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও জনবল পেলে চলতি বছরই কার্ডিয়াক সার্জারির সুবিধাও চালু করা হবে বলে জানান হৃদরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম এ বারী। তিনি আরো জানান, আমাদের কয়েকজন ডাক্তারকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণ দেয়া দেয়া হয়েছে কিন্তু তা পর্যপ্ত নয়। ক্যাথল্যাব চালুর পর কোনো রোগীর সমস্যা হলে সার্বক্ষণিক ইন্টারভেনশনারিস্ট পোস্টিং না থাকলে প্রয়োজনীয় সেবা দেয়া কঠিন হবে। আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে কোনো ঝুঁকির মধ্যে রাখতে চাইনা। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিয়াক ইন্টারভেশন এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মীর জামাল উদ্দিন জানান, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ময়মনসিংহের ক্যাথল্যাবকে ডাক্তারসহ প্রয়োজনীয় সব ধরণের সহযোগীতা প্রদান করবে। বাংলাদেশ সোসাইটি অব কার্ডিয়াক ইন্টারভেশন এর সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ একেএম ফজলুর রহমান বলেন একটিমাত্র ক্যাথল্যাব দিয়ে নিরবচ্ছিন্ন রোগীর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব নয়। একটি মেশিন নস্ট হয়ে গেলে আরেকটি ক্যাথল্যাব মেশিন দিয়ে সেবা দেয়া যাবে। তাই আরেকটি ক্যাথল্যাব মেশিনের খুবই প্রয়োজন।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ