কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এসএসসি পরীক্ষা দিতে পারেনি দুই শিক্ষার্থী। পরে উপজেলা পরিষদের সামনের  মহাসড়কে বাসের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করলে একজন সংবাদকর্মীর সহায়তায় জনতা তাকে প্রাণ বাঁচায়। পরীক্ষার্থীরা হলো পৌর শহরের জগনাথপুর এলাকার হাজী ইউছুফ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রুমান আহমেদ (১৫) ও ভৈরব এম পি  গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী তিশা আক্তার (১৫)। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান সবুজ তাদের অভিভাবকদের ডেকে এনে দুইজনকে হস্তান্তর করে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে আজ রোববার সারাদেশে ছিল এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন। সেই অনুযায়ী ভৈরবের উক্ত দুইজন পরীক্ষার্থীর ভূল তথ্যে জানা ছিল দুপুর ২ টায় বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বন্ধুরা নাকি দুপুর  সময়ের তথ্য দিয়ে তার মোবাইলে এসএমএস  দেয় দুজনের  দাবি। পরে সকাল ১০ টায় জানতে পারে পরীক্ষার সময়সূচী সকাল ১০ টায়। তারপর তারা দ্রুত সকাল ১০টা ৪০ মি:  টায়  স্থানীয় পরীক্ষা কেন্দ্র সরকারী কে,বি পাইলট মডেল হাইস্কুলে ছুঁটে গেলে কর্তৃপক্ষ দুজনকে স্কুলে ঢুকতে দেয়নি। এসময় সময় গড়িয়ে প্রায় ১১ টা বেজে যায়। পরে হতভম্ব হয়ে তারা দুজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ছুটে যায়। সেখানে ইউএনওকে না পেয়ে তারা উপজেলা পরিষদের সামনে ভৈরব -কিশোরগন্জ মহাসড়কে চলাচলকারী বাসের নিচে পড়ে আত্মহত্যা করতে ছুটে যায়। এসময় ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করছিল সেখানে  উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মী আরিফুল ইসলাম মামুন। দুজনের ঘটনা দেখে মামুন তাদের পিছনে পিছনে গিয়ে পথচারী ও জনতার সহায়তায় দুজনকে আত্মহত্যা থেকে রক্ষা করে প্রাণ বাঁচায়। খবর পেয়ে দুজনের অভিভাবকরা বাসা থেকে ছুটে আসে ঘটনাস্থল উপজেলা পরিষদে। পরে তাদের অভিভাবকরা দুজনকে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র কেবি স্কুলে গিয়ে ইউএনও'র নিকট ঘটনাটি অবহিত করলেও তারা পরীক্ষা দিতে পারেনি।

পরীক্ষার্থী রুমানের বড় ভাই উজ্জল মিয়া  ও অন্য তিশা আক্তারের মা জেসমিন বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে আমরা  ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পরে ইউএনও'র কাছে নিয়ে গেলেও সময় পার হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি।
পরীক্ষা কেন্দ্র ভৈরব সরকারী পাইলট মডেল  কেবি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম জানান দুজন পরীক্ষার্থী নৈবেত্তিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলে বেলা সাড়ে ১১ টায় কেন্দ্রে পৌঁছে, একারনে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। নিয়মের বাইরে কেন্দ্রে উপস্থিত হলে পরীক্ষা দেয়ার কোন সুযোগ আমরা দিতে পারিনা।
পাবলিক পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিকুর রহমান জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়ে ঢাকা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এব্যাপারটি অবগত করি। কিন্ত কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেয়ার কারনে অসময়ে তাদের পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করা আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। তারা পরীক্ষা দিবে সময়সূচী জানবেনা এধরনের ভুল দুঃখজনক। তাদের অভিভাবকদের বলেছি, বাকী পরীক্ষাগুলি দিতে।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ