কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইয়াছির মিয়া প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। আজ কুলিয়ারচর জামে মসজিদে যোহরের নামাজের পর মুসুল্লী ও জনতার উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে তিনি এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন। উল্লেখ্য, গত ২১ জানুয়ারী একটি মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, মাদ্রাসা এখন শিক্ষার বদলে ব্যাবসা। মাদ্রাসা থেকে হাফেজি, তফসির পরার পর কি করবে তারা। তাদের ভবিষ্যৎ কি? কিছু করতে না পেরে একসময় জঙ্গী হবে। মাদ্রাসায় কি পরানো হচ্ছে? কুরআন তফসির হাদিস ইত্যাদী। সে ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ধর্মপ্রান মুসুল্লিগনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে ২৫ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে স্থানীয় এক মাদ্রাসায় কুলিয়ারচর আলেম ওলামারা এক প্রতিবাদ সভা করে উপজেলা চেয়ারম্যানের মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কটুক্তিমুলক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিল¤ে তাকে কুলিয়ারচর ও দেশবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনার আহবান জানান। এরই প্রেক্ষিতে আজ শনিবার দুপুরে কুলিয়ারচর জামে মসজিদের যোহরের নামাজের পর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইয়াসির মিয়া শতশত মুসুল্লিদের সামনে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুসা জিসান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মো ঃ লিটন মিয়া ও কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা। এ সময় ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্ধ ও মুসুল্লিগণ উপস্থিত ছিলেন।ধর্মপ্রান মসুল্লিদের সামনে ইয়াছির মিয়া বলেন, গত কয়েক দিন আগে আমার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মনের অজান্তে আমার এ বক্তব্য যদি কারো মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি প্রথমেই মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনারাও সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ