গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ৯নং হরিনাথপুর ইউনিয়নের মাদক ব্যবসা সহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত এবং নির্বাচনে হেরে এক ব্যক্তির একের পর এক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় ইউপি সদস্য সহ অসংখ্য লোক রোষানলেের শিকার। সরেজমিনে প্রকাশ,গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ী উপজেলার ৯নং হরিনাথপুর ইউনিয়নের হরিনাবাড়ী গ্রামের প্রধান পাড়ার মোঃ আবদুল মান্নান প্রধানের ছেলে ও দ্বিতীয় বারে নির্বাচিত ইউপি সদস্য মোঃ সাহারুল ইসলামের সাথে একই গ্রামের হিন্দু পাড়া এলাকার মৃত শাকোয়াত হোসেন ওরফে সাদা মিয়ার ছেলে মাদক ব্যবসা সহ নানা অপরাধের সাথে জড়িত মোঃ আবুল লতিফ ওরফে কানা লতিফের সাথে সামাজিক নানা বিষয় নিয়ে পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিলো। তার এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও ইয়াবা,গাঁজা সহ বিভিন্ন মাদক ব্যবসা বন্ধের জন্য প্রতিবাদ করেন ইউপি সদস্য সাহারুল ইসলাম সহ স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে মাদক ব্যবসায়ী কানা লতিফ প্রতিবাদীদের নানাভাবে হয়রানী সহ বিপদে ফেলার পথ খুঁজতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গেলো ইউপি নির্বাচনে  হরিনাথপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আবদুল লতিফ। নির্রাচনে হেরে যায় আবদুল লতিফ এবং দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচিত হয় সাহারুল ইসলাম।এছাড়া ওই মাদক ব্যবসায়ী আবদুল লতিফ  হরিনাবাড়ীর কদমতলী বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ডিপটি মিয়ার ছেলে আশাদুল মিয়ার দোকানে কৌশলে ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে পুলিশকে খবর দেয়। তারপর পুলিশ এসে আশাদুলকে হরিবাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং তদন্ত শেষে বিষয়টা মিথ্যা প্রমাণিত হয় আর এসব মাদক কানা লতিফ দোকানে কৌশলে রেখে দোকানীকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন বলে তদন্তে বেড়িয়ে আসে।অপরদিকে,কদমতলী বাজারের চা দোকানী ভোলা মিয়ার নিকট ৭০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে ওই মাদক ব্যবসায়ী আবদুল লতিফ কানা,এ চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে কানা লতিফ একই কায়দায় ভোলা মিয়ার দোকানে ১'শ ৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে চা দোকানী ভোলা মিয়াকে প্রথমে হরিনাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায় এবং পরে পলাশবাড়ী থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত শেষে বিষয়টি মিথ্যা প্রমাণিত হয়। আর এসব মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট মাদক ব্যবসায়ী আবদুল লতিফ ওরফে কানা লতিফ তার বিশ্বস্ত সবুজ সহ তিনজনকে দিয়ে ওই ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো ভোলার চা দোকানে রেখে আসে বলে ভুক্তভোগী সূত্র জানান। পরে অবশ্য এ তিনজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে তবে সেসময় কানা লতিফ থাকে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অবশ্য পুলিশ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার অপরাধ আবদুল লতিফকে গ্রেপ্তার করে। আর আবদুল লতিফ এসব মাদক ব্যবসা করবে না মর্মে মুসলেকা দিয়ে তাকে কুমারগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও মাদ্রাসা শিক্ষক মঞ্জুর মোর্শেদ সহ আরো এক ব্যক্তি তাকে পলাশবাড়ী থানা থেকে বাড়ি নিয়ে আসে। তবে আবদুল লতিফের মাদক ব্যবসা আজো বন্ধ হয়নি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবদুল লতিফ গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সহ সচেতন অভিজ্ঞ মহল সাধারন মানুষজন কানা লতিফের রোষানলে ও হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ