কলেজে না পড়েও নিজ দাবী করা শিকারপুর সরকারী শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের কথিত সভাপতি, চাঁদাবাজী, ভাংচুর লুটপাট সহ প্রায় হাফ ডজন মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী শাকিল মাহামুদ আউয়াল খানের বিচারের দাবীতে কলেজের শিক্ষার্থী সহ শত শত নারী পুরুষ ও জনতা এক ঝাড়ু মিছিল করেছে। আউয়াল খান শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজের মেধাবী ছাত্র মারজু বিশ্বাসকে কুপিয়ে জখম করার মামলার পালাতক আসামী তাকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক বিচারের দাবীতে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর বন্দরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা, ঝাড়ু মিছিল ও সড়ক অবোরোধ করেন স্থানীয় ছাত্র, জনতা। মিছিলে অংশ নেয়া নারীরা হাতে ঝাড়ু নিয়ে কথিত ছাত্রলীগ নেতা আউয়াল খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। উজিরপুর মডেল থানার একদল পুলিশ উপস্থিতি হয়ে তাকে (আউয়ালকে) দ্রুত গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলে জনতা সড়ক অবোরোধ তুলে নেন। প্রতিবাদ সভায় স্থানীয়রা প্রকাশ্যে অভিযোগ করে বলেন, একধিক মামলার আসামী বেপরোয়া আউয়াল খান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে শিকারপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কয়েম করেছে। আউয়াল খান সরকারী দলের লেবাস লাগিয়ে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর কারনে তার হাতে শিকারপুর এলাকার মানুষ জিন্মি হয়ে পড়েছে এমন কি পুলিশ প্রশাসনও তোয়াক্কা করে না আউয়াল খান তার কর্মকান্ডে সরকারী দল আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরাদেরও বিব্রতকর অবস্থায় পারতে হচ্ছে, তার বড় ভাই ওয়াকার্সপার্টির নেতা করিম খান তার সেল্টারদাতা। এক সময় শিকারপুর বাজারের ইলেকটিক দোকানী ১ সন্তানের জনক মোঃ আউয়াল খান মহাজোট আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ করে হয়ে যান ছাত্রলীগ নেতা। এর পর শুরু করেন নানা অপকর্ম দলের সাইনবোর্ড লাগিয়ে  প্রকাশ্যে নারী কেলেঙ্কারী থেকে শুরু করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমি দখল করেছে সন্ত্রাসী আউয়াল খান। তারা বাড়ি এলাকায় নিশাত নামক এক স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে জনতার হাতে ধরা পরার পর থানা থেকে ছাড় পেয়ে যান। কিছুদিন পরেই  মুন্ডপাশা গ্রামে কামাল হোসেনের স্ত্রী তানিয়া বেগমকে হত্যা মামলায় এজাহার ভুক্ত আসামী অউয়াল খান ক্ষমতার দাপটে মামলার চাজর্সিট থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ান এর পর থেকে সে বেপরোয়া হয়ে উঠেন। প্রবীন তুখোর আওয়ামী লীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: আয়নাল হোসেনের দোকান ঘর ভাংচুর ও লুটপাট মামলায় বরিশাল আদালতে আউয়াল খানকে ৬ মাসের সাজায় দন্ডিত করেন। আদালত থেকে একটি মামলায় ওয়ারেন্টে জাড়ি হলে আসামী আউয়াল খানকে পুলিশ গ্রেফতার করতে গেলে পুলিশকে গালিগালাজ করেন পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপার্দ করেন। শিকারপুর এলাকার মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে আউয়াল ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে জিন্মি রয়েছে।সর্বশেষ রোববার শেরে বাংলা কলেজের মেধাবী ছাত্র মারজু বিশ্বাসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করেন আউয়াল খান ও তার বাহিনী এ ঘটনায় আউয়াল খানকে প্রধান আসামী উজিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে মারজু বিশ্বাস। উজিরপুর মডেল থানার ওসি কামরুল হাসান স্বীকার করেছেন শাকিল মাহমুদ আউয়াল খান শিকারপুর শেরে বাংলা কলেজ ছাত্র মারজুকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা মামলার মুল আসামী সে এখন পালাতক রয়েছে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ