শরীয়তপুর জেলার সদর উপজেলার গঙ্গানগর বাজার থেকে গত ১০ আগষ্ট সন্ধায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর শরীয়তপুর জেলা শাখার উপপরিদর্শক তোফায়েল আহম্মেদের নেতৃত্বে নূরে আলম নামের একজনকে আটক করে। আটকের পর নির্যাতন করার অভিযোগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক তোফায়েল আহম্মেদ ও আভিযানিক টিমের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারকে মামলা করার আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট।শরীয়তপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আভিযানিক টিম ৫২পিস ইয়াবাসহ নূরে আলম মাদবরকে আটক করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। মামলা ও নূরে আলমের অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, ১০ আগষ্ট সন্ধায় নূরে আলম মাদবর নামে একজনকে আটক করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর শরীয়তপুর জেলা শাখার উপপরিদর্শক তোফায়েল আহম্মেদ ও তার টিম। আটকের পর নূরে আলমকে অভিযানে থাকা ৪/৫ সদস্য বেধরক মারধর করে এবং মামলা দিয়ে রাতে থানায় সোপর্দ করেন। পরে নূরে আলম মাদবর আদালত থেকে জামিনে এসে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক তোফায়েল আহম্মেদের বিরুদ্ধে আদালতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, এরই প্রেক্ষিতে নূরে আলমের স্বশরীরে দেখে, চিকিৎসকের চিকিৎসাপত্র ও স্বাক্ষীদের বক্তব্য শুনে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তোফায়েল আহম্মেদের বিরুদ্ধে মামলা করার আদেশ দেন সিনিয়র জুডিশিয়াল মাজিস্ট্রেট শামছুল আলম।এবিষয়ে আসামী পক্ষের এডভোকেট শহিদুল ইসলাম সজিব বলেন, আমার মোয়াক্কেল নূরে আলমকে গ্রেপ্তারের পর বেধরক মারপিট করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের আভিযানিক টিম, যদিও আসামীকে মারধর করার কোনো এখতিয়ার তাদের নেই, নূরে আলমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এখনো মারধরের চিন্হ রয়েছে। মারধর করার জন্য নূরে আলম মাদবর আদালতে লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের শরীয়তপুর জেলা শাখার উপপরিদর্শক তোফায়েল আহম্মেদসহ তার টিমের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারকে মামলার আদেশ দেন।আসামীকে মারধরের বিষয়ে জানতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শক তোফায়েল আহম্মেদের মুঠোফোনে কল করলে তিনি মুঠোফোনে কথা না বলে সরাসরি কথা বলবে বলে জানান।মামলার বিষয়ে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আকতার হোসেন জানান, নূরে আলমের বিরুদ্ধে মামলার বাদী উপপরিদর্শক তোফায়েল আহম্মেদ ও তার টিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ