আওয়ামীলীগের দূঃসময়ে রাজপথের লড়াকু সৈনিক, কর্মী বান্ধব নেতা,কাউলতিয়া ইউনিয়ন ছাত্রীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক, সাবেক ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ শাখা ছাত্রলীগ কমিটির সদস্য, ছাত্র সংসদের ম্যাগাজিন বিষয়ক সম্পাদক, সদর থানা ছাত্র লীগের সাবেক প্রচুর সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক, গাজীপুর সদর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম। আওয়ামী লীগের দূঃসময়ে গাজীপুর মহানগরের প্রান কেন্দ্র চন্দনা চৌরাস্তাসহ নিজ থানা কাউলতিয়ার রাজপথে লড়াই সংগ্রামে তাকে দেখা যেতো প্রথম সারিতেই। জামায়াত বিএনপির দুঃশাসনের প্রতিবাদে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন মিটিং মিছিলে প্রায় সর্বত্রই তাকে দেখা যেতো । এজন্য হয়েছেন বারবার নির্যাতিত, হয়েছেন বহু গায়েবী মামলার আসামী।ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করতে গিয়ে বহুবার নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তিনি। ১৯৮১-৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন, ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি । ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াত কর্তৃক বারবার নির্যাতিত হয়েছেন তিনি। ২০০৭-০৮ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারামুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন মোঃ সাইফুল ইসলাম। এলাকার রাজনৈতিক অঙ্গনে এমন ত্যাগী নেতার মূল্যায়ন চান এলাকাবাসী । কাউলতিয়া সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের কর্মী সমর্থকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, মোঃ সাইফুল ইসলাম আওয়ামীলীগের পরীক্ষিত, ত্যাগী ও নির্যাতিত একজন নেতা । মাঠ পর্যায়ের কর্মী সমর্থকরা যে কোন দুঃসময়ে তাকে পাশে পেয়ে থাকেন । তারা আরও জানান, কর্মীবান্ধব ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা মোঃ সাইফুল ইসলামকে রাজনৈতিক ভাবে মূল্যায়নের এখনই সময়। তাই আগামী কাউলতিয়া সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন । আর এই সম্মেলন থেকেই মোঃ সাইফুল ইসলামকে কাউলতিয়া সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত করার দাবী জানান এই থানা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের অসংখ্য নেতৃবৃন্দরা। মো.সাইফুল ইসলামের একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,আমি জন্মের পর থেকে পিতা মাতাকে দেখে আসছি জয়বাংলা স্লোগান দিতে। তাদের হাত ধরেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়িয়ে ফেলি। সেই থেকে এখন পর্যন্ত চলছে আওয়ামী লীগের সাথে আমার প্রেম। ১৯৮২ সালে কাউলতিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে প্রথম নেতৃত্বে আসি আমি । ইউনিয়ন ছাত্র লীগে থেকে শুরু করে গাজীপুর সদর থানা আওয়ামী লীগ পর্যন্ত, বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছি আমি। দায়িত্ব পালন কালে ১৯৮১ সালের ১৭ মে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সশরীরে উপস্থিত থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের দিনে উপস্থিত ছিলাম আমি। ২০০৪ সালের শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্যারের মৃত্যুর প্রতিবাদে করা আন্দোলে বিএনপি সরকারের করা মামলায় ১ মাসের বেশি সময় কারাবরণ করতে হয় আমাকে। ১৯৮৬ সালের ভাওয়াল কলেজ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে ছাত্রফ্রন্টের হামলা-মামলার শিকার হই।এমনকি ১৯৯১ সালের দিকে বিএনপি সরকারের তৎকালীন ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর রোষানলে ৫ মিথ্যা মামলা আসামি হয়ে দীর্ঘ দিন কারাবন্দী জীবন কাঁটাই । পরিশেষে আমি আপনাদের মাধ্যমে একটা কথা জানাতে চাই গাজীপুর মহানগরের অন্যন থানার ন্যায় আমি কাউলতিয়া সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগের কর্মী হিসেবে আমি সভাপতি পদপ্রার্থী হয়েছি।সিনিয়র নেতারা আমাকে যোগ্য মনে করে সভাপতি নির্বাচিত করলে অবশ্যই মহানগরের ভেতরে কাউলতিয়া সাংগঠনিক থানা আওয়ামীলীগ একটি শক্তিশালী ইউনিট হবে বলে মনে করি।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ