এক মাসের ব্যবধানে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে মধ্যরাতে আবারো নদী ভাঙ্গনে দুটি চাতালমিলের প্রায় দুই শত ফুট জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। শ্রমিকরা জীবন বাচাতে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নেয়। বার বার ভাঙ্গন রোধে দ্রুত কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়ার দাবী এলাকাবাসিসহ চাতাল শ্রমিকদের। সরেজমিনে জানা যায়, গত ১৯ জুন মেঘনা তীবর্তী বাগানবাড়ি এলাকায় নদী ভাঙ্গন শুরু হলে তখন মিলের দুই শ্রমিক নদীতে ডুবে মারা যায়। এ ঘটনার পর মাটি ভর্তি পলি ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকাতে চেষ্টা চালায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। গতকাল রাতে মাটি ভর্তি ব্যাগসহ প্রায় দুই শত ফুট জায়গা পানিতে তলিয়ে যায় বলে জানান চাতালের শ্রমিকরা। এখন পর্যন্ত থেমে থেমে ভাঙ্গন অব্যাহত থাকায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবসি সহ চাতাল মিলের শ্রমিকরা। এ অবস্থায় অবিলম্বে ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী ক্ষতিগ্রস্তদের। গত একমাস পূর্বে একই স্থানে ভাঙ্গনে বেশ কয়েটি স্থাপনা বিলিন সহ দুই ¤্রমিকের মৃত্যু হয়। সেই থেকে মিলের পচিশটি পরিবারের শতাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ে। বর্তমানে চাতাল মিলের কার্যক্রম পুরোপুরি স্থগিত হয়ে পড়ে। কাজকর্ম বন্ধ থাকায় মিলের শ্রমিকরা অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে স্ত্রী সন্তানাদি নিয়ে দিনাতিপাত করছিল। কর্মহীন মানুষগুলো মানবেতর জীবন যাপন কালে আবারো ভাঙ্গন দেখা দিলে দিশেহারা হয়ে শ্রমিকরা এখন যার যার এলাকায় চলে যাচ্ছে। এলাকাবাসি চাতাল শ্রমিকরা বলেন, এক মাস আগে এ জায়গা নদীর ভাঙ্গনে চাতাল মিলের ২শ্রমিক পাতিতে তলিয়ে মারা গেছে। সে শোক না ভুলতেই গতকাল মধ্যরাতে আবারো ভাঙ্গন দেখা দিলে যতটুকু পরেছি মালামাল ও সন্তানিাদিকে নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি। অঅমরা এখন দিশেহারা। কোন কাজকাম নাই। খেয়ে না খেয়ে কোন রকমে দিন যাপন করছি।কিশোরগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো ঃ মতিউর রহমান বলেন, কিছুক্ষণ আগে খবর পেয়েছি। পূর্বের ঘটনার পর পলি ব্যাগে মাটি ভরে ভাঙœ রোধের চেষ্টা করেছিলাম। আজ আবারো ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এ ভাঙ্গন রোধ অচিরেই কার্যকরি ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ