গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার মৎস্য অফিস সহকারী (কাম মুদ্রাক্ষরীক) এমদাদ হোসেন মন্ডলের বিরুদ্ধে চাকরি দেয়ার প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের বিষয়েউপজেলা মৎস্য অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছেন শ্রী সাগর কুমার মহন্ত নামের এক যুবক।অভিযোগে প্রকাশ,বগুড়া জেলার গাবতলী থানাধীন কাগইলের বেলতলা গ্রামের নিখিল চন্দ্র মহন্তের ছেলে শ্রী সাগর কুমার মহন্তের গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের আবুল হোসেন মন্ডলের ছেলে ও পলাশবাড়ী মৎস্য অফিস সহকারী (কাম মুদ্রাক্ষরীক) এমদাদ হোসেন মন্ডলের সাথে পরিচয় ও সখ্যতা গড়ে ওঠে। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে এমদাদ সাগরকে সরকারি চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে চার লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।প্রতারক এমদাদ হোসেন মন্ডল ভুক্তভোগী সাগরের নিকট আত্মীয় শ্রী সন্ঞ্জিত কুমারের সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে তোলার জের ধরে পরিচয় হয়! উক্ত পরিচিতির জের ধরে এমদাদ হোসেন মন্ডল সাগরকে প্রস্তাব দেয় যে বগুড়া জজ কোর্টে কিছু সংখ্যক অফিস সহায়ক পদে লোক নিয়োগ হইবে। এমদাদ হোসেন মন্ডল আরো বলে যে, আমার উর্ধতন মহলে কিছু লোক আছে যাদের মারফতে তোমার চাকরি নিয়ে দিতে পারবো। আর সেজন্য মোট ১২ (বার লক্ষ) টাকা লাগবে। তন্মধ্যে নগদ ৪(চার লক্ষ) টাকা  দিতে হবে। এবং বাকী টাকা চাকরি হলে দিতে হবে। আমি একজন বেকার যুবক ও কৃষক পরিবারের সন্তান হওয়ায় সরল বিশ্বাসে চাকরি পাবার আশায় এমদাদ হোসেন মন্ডলকে বিশ্বাস করে নগদ ৪ (চার লক্ষ) টাকা স্থানীয় কিছু স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে গোবিন্দগঞ্জ মায়ামনি হোটেলে  বুঝিয়ে দেই। উক্ত টাকার জামানত হিসাবে গোবিন্দগঞ্জ শাখা সোনালী ব্যাংকে এমদাদ হোসেনের স্বাক্ষরিত ২টি চেক এর পাতা আমার বাবা নিখিল চন্দ্রের নামে দেয়। যাহার  হিসাব নং- ০০২৩৭৮৮৪৪।উল্লেখিত সময়ে চাকরি না হওয়ায় আমি তাকে উক্ত টাকা ফেরতের জন্য তাগাদা দিতে থাকি। সে আমার কথায় গুরুত্ব না দিয়ে আজ দেবো,কাল দেবো  বলে তালবাহানাসহ কালক্ষেপণ করে দীর্ঘ প্রায় তিন বছর যাবৎ ঘুরাচ্ছে।উক্ত এমদাদ হোসেন মন্ডল একজন ঠক,প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। বিভিন্ন পদে চাকরি দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয় বলেও ভুক্তভোগী সাগর জানান। এ সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযুক্ত এমদাদ হোসেন মন্ডলের সাথে পলাশবাড়ী উপজেলা মৎস্য অফিসে যোগাযোগ করেও তার দেখা মেলেনি। সে দীর্ঘদিন থেকে অফিসে আসে না এবং অনুপস্থিত বলে তার সহকর্মীরা জানান। তবে তার মুঠোফোনে জানতে চাইলে অভিযুক্ত এমদাদ হোসেন মন্ডল নিজে কোনো টাকা গ্রহণ করেননি,তবে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ও দরবস্ত গ্রামের (কোমরপুর) বাজার সংলগ্ন নয়া পাড়ার বাসিন্দা তোজাম্মেল হকের পুত্র ধান ব্যবসায়ী আতোয়ার রহমান এ টাকা নিয়েছে বলে জানান। তবে কোমরপুর বাজারের নয়া পাড়া এলাকায় একাধিক যোগাযোগের চেষ্টা করেও আতোয়ার রহমানের দেখা পাওয়া যায়নি এবং মুঠোফোন নাম্বার সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। বিধায় তার মন্তব্য জানা যায়নি। এছাড়া ওই এলাকার লোকজন আতোয়ার রহমান সম্পর্কে কোনো পজেটিভ কথা বলেনি।এবিষয়ে পলাশবাড়ী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার সরকারের নিকট জানতে চাইলে,তিনি বলেন অভিযোগ পেয়েছি। আর তার অফিসে অনুপস্থিত সহ নানা অনিয়মের ব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া  হয়েছে বলে জানান।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ