কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী স্বর্ণপদক জয়ী কাজী গোলাম সারোয়ার
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেতে দলের সম্মানিত সভাপতি জননেত্রী,জননেত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও মনোনয়ন বোর্ড। মাননীয় সাংসদ আলহাজ্ব নাজমুল হাসান পাপন সাহেব। জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামীলীগ,পৌর আওয়ামী লীগ,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের কাছে সবিনয়ে আকুল আবেদন জানিয়েছেন জেলার স্বর্ণপদক জয়ী চেয়ারম্যান কাজী গোলাম সারোয়ার। সবিনয় আবেদনে তিনি বলেন, তিনি ছাএজীবন থেকে যে আদর্শ বুকে লালন করে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক আদর্শ মাথায় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধে দেশকে স্বাধীন করার জন্য ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। মুজিব বাহিনীর সদস্য হিসাবে যুদ্ধ করে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে ভৈরব থানা ছাএলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে তখনকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েও প্রিয়নেতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান সাহেবের নিদর্শনায় ভৈরব ছাএলীগকে সংগঠিত করার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন । তৎকালীন সময়ে ভৈরব রেলওয়ে মাঠে এক জনসভায় ভৈরব ছাএলীগের পক্ষথেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্বর্ণের নৌকার ব্যাজ পড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেইদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার কপালে চুম্বন দিয়ে আদর করে বলেছিলেন তোমরাই আগামী দিনের সূর্যসন্তান এগিয়ে যাও দেশ গড়ার কাজে । ঐতিহাসিক জনসভায় নৌকার গান গেয়ে মঞ্চ মাতিয়ে রেখেছিলেন। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু যখন ঘোষণা দিয়েছিলেন "যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত হও"সেই সময় কাজী গোলাম সারোয়ার ভৈরব থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধাদের নিবন্ধনে তার নাম রয়েছে। দুঃখের বিষয় মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটটি তিনি বিশেষ কারণে গ্রহণ করতে পারেনি। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালে ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন আমার দেশের জনগনের জন্য খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের উন্নয়নে যুবসমাজকে এগিয়ে আসার জন্য। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭২ সালে কুরআন শপথ করে আলফাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় নামক প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। এবং সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। তাতেই তিনি ক্ষান্ত হননি। দীর্ঘ ১৫ বছর বিনা বেতনে এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছিলেন। কিছু দিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের জি এম পদে চাকরিরত অবস্থায় ইউনিয়নের বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করেছেন ।
পাশাপাশি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগকে গতিশীল আর সংগঠিত রাখতে নিজে পদপদবী না নিয়ে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি করে অনেকেই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগে প্রতিষ্ঠিত করেছেন যার সুবাদে ১৯৯৭ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের দোয়া আর সমর্থন নিয়ে হরিণ মার্কা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অল্প ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো সেই নির্বাচনে হরিণ মার্কার পাশাপাশি উট মার্কা নামের আরেকটি প্রতীক ছিলো যাতে প্রায় দুইশের বেশী ভোট পরে আর মাত্র অল্প ভোটের ব্যবধানে তিনি হেরে যান । ২০১৬ সালে ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কতিপয় পদধারী চক্রান্ত করে তাকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে বঞ্চিত করে এবং মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় ডিলিগেট ভোটে অংশ গ্রহণে অযোগ্য করে।এবং তিনি মনোনয়ন ভোটে অংশগ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রেখে
দলের তৃণমূলের দাবীর মুখে দলের তৃণমূল আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়ে জনগনের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন । নির্বাচিত হবার পর নির্বাচন এবং সার্বিক রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় দলের স্বার্থ বিরোধী কোনো কাজে অংশগ্রহণ না করায় বরং দলের জন্য নিবেদিত হওয়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগ তাকে উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য মনোনীত করেন। চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামীলীগের উন্নয়নকে তিনি সামর্থ অনুযায়ী জনমানুষের দুয়ারে সেবার মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত থেকে যথা সাধ্য চেষ্টা করে পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছেন । তার ইউনিয়নকে একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তরের আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন যার সাক্ষী উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণ। তার ক্ষমতা দিয়ে কাউকে হয়রানি, পরস্পর ঝগড়া বিবাদ,দলীয় কোন্দল। গণমানুষের অকল্যাণে কোন কাজ করেননি আর তাই সরকার এবং বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ ফোরাম (এলজিএসপি) জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসাবে তাকে স্বর্ণপদকে ভূষিত করেন । এছাড়াও চেয়ারম্যান হিসাবে স্বর্ণপদক থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু পদক, শেরে বাংলা পদক, হুসেন শহীদ সোহরাওয়াদী পদক, মাদার তেরেসা পদক, ফিদেল কাস্ট্রো পদক, সাদা মনের মানুষ হিসেবে এনজিও পপিকে নিজ বাড়িতে বৃদ্ধাআশ্রমের জায়গা দেয়ায় পপি কর্তৃক শ্রেষ্ঠ সাদা মনের মানুষ পদক সহ শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যানের অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন । সেই বিবেচনায় ইউনিয়নের শান্তি রক্ষার্থে, বঙ্গবন্ধুর নৌকার মাঝি হিসেবে, সাদা মনের মানুষটিকে জীবনের শেষ বেলায় তার দিকে একটু সু নজর দেয়ার দাবী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের । তিনি আশা করেন নিজ দল একজন সাদা মনের মানুষকে জীবনের শেষ বেলায় একটু মূল্যায়ন করবেন ইনশাআল্লাহ।