সিরাজগঞ্জে মারপিট বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট, আহত ১০
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মারপিট, বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে সালাউদ্দিন খান বাচ্চু গংদের বিরুদ্ধে।র,রবিবার(১১ এপ্রিল) উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০জন। আহতদের উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।আহতরা হলো, মজিবর রহমানের ছেলে হায়দার আলী (৪৮), তার স্ত্রী স্ত্রী শেফালী খাতুন (৪০), মজিদ প্রামানিকের ছেলে মাইদুল (৩০), মজিবর শেখের ছেলে আবু তালেব (৪০) সহ ১০জন। এদের মধ্যে শেফালী খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে কতর্ব্যরত ডাঃ মোঃ রোকন উদ্দিন নিশ্চিত করেছেন।আহত হায়দার আলীর বড় ভাই সোহরাব আলী সেখ বলেন, রবিবার সকালে আলমপুর বাজারে আমার ছোট ভাই আবু তালের দুধ বিক্রি করতে গেলে একই গ্রামের ফরহাদ খানের ছেলে আলআমিন বেধরক মারপিট করে এবং দুধ ফেলে দেয়।এ ব্যাপারে আল আমিনের পরিবারে নিকট বিচার চাইতে গেলে তাকে মারপিট করে। পরে সালাউদ্দিন খান বাচ্চুর নির্দেশে ফরহাদ খানের ছেলে আল আমিন খান, নুরা খানের ছেলে বেল্লাল ও মুনসুর, হামিদ খানের ছেলে কাউসার, মোজদার খানের ছেলে হামিদ খান, মৃত আবু সাঈদ খানের ছেলে ইকবাল, মৃত মতিউর রহমান খানের ছেলে চিনি খান, আজিজ খানের ছেলে সাইদুল মাস্টার, সাহেব আলীর ছেলে বাদল সেখ, ঠান্ডু খানের ছেলে আল আমিন, ময়দান সেখের ছেলে নুয়া, কাদের সেখের ছেলে শাহ আলম, মালেক সেখের ছেলে হযরত, সোহরাব সেখের ছেলে শামীম, পার্বত্য সেখের বাহের সেখসহ প্রায় ৫০/জন দেশীয় অস্ত্র রামদাহ, ছুরি, ফলা, হাশুয়াসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর আঘাত করে। এসময় আমাদের প্রায় ১০জন আহত ও ৮টি বাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট করে। আমাদের ৮টি বাড়ীতে টিভি, ফ্রি, সোনার গহনা ও নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।অভিযুক্ত সালাউদ্দিন খান বাচ্চু সকল অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হচ্ছে।সিরাজগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম শাহ বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাগবাটি ইউনিয়নের ইছামতি গ্রামে বাড়ীঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনা সদর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।