সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমানের প্রতিবাদ বক্তব্যে সমালোচনার ঝড়!
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের বক্তব্য নিয়ে কদিন থেকে আলোচনা হচ্ছে দিরাই আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে।দুদিন আগে এই বক্তব্যের বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় সমালোচনা ও লিখিত প্রতিবাদ জানান দিরাই উপজেলা বিএনপির স-সভাপতি হাফিজুর রহমান মাষ্টার।এ ধরনের বক্তব্যে সমালোচনার ঝড় বইছে সর্বত্র। হাফিজুর রহমান মাষ্টার উনার প্রতিবাদে উল্লেখ করেন সুনামগঞ্জে প্রদীপ রায় বক্তব্যের মাধ্যমে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের রাজনীতি ও আদর্শকে অস্বীকার করেছেন প্রদীপ রায়।দিরাই প্রবীন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে আলাপ করে জানাযায়,৭২ পরবর্তী আওয়ামী রাজনীতিতে পূর্ব দিরাইয়ের জগদল,কুলঞ্জ ও তাড়ল ইউনিয়নে সহ অন্যান্য ইউনিয়নের কিছু সংখ্যক মানুষ আওয়ামীলীগ করতেন।দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সর্দার যখন সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন তখন ঐ কমিটিতে যুগ্ন সম্পাদক ছিলেন প্রদীপ রায় ও হাবিবুর রহমান তালুকদার। জানা যায় প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ যখন দিরাইতে আসতেন তখন আন্তরিক সম্পর্ক ছিল একমাত্র প্রদীপ রায়ের বাবা প্রভাত রায়ের সাথে।তাছাড়া বর্তমান সভাপতি মতিউর রহমান প্রায়ই বলে থাকেন রাজনীতিতে উনাকে সব চেয়ে বেশি সহযোগীতা করেছেন প্রভাত রায়।প্রভাত রায়ের বাড়ী থেকেই অনেক নেতার রাজনীতির উত্তান।আর উনারই বড় সন্তান প্রদীপ রায় যখন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক নির্বাচিত হন তখনও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত আওয়ামীলীগে আসেন নি।¯’ানীয় নেতৃবৃন্দ বলেন দিরাই রাজনীতিতে প্রদীপ রায়ের অবদান ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই।আওয়ামী গ্রোপিং অপরাজনীতির স্বীকার হয়ে প্রদীপ রায়ের ছোট ভাই নান্টু রায়ের মৃত্যু হয়,নান্টু রায় তখন উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ছিলেন।এবং স্বাধীনতা পরবর্তি আওয়ামীলীগ মনোনীত যাহারা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তাদের মধ্যে সরমঙ্গল ইউনিয়নে প্রদীপ রায়ের বাবা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।সচেতন রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মতামত প্রদীপ রায়ের বক্তবের সমালোচনা করার যোগ্যতা তাহাদের নেই যারা কোন দিনই আওয়ামীলীগ করেন নাই।রাধানগর গ্রামে একমাত্র রমজান মিয়া ছাত্রলীগ করতেন।চান মিয়া সহ কয়েকজন মুরব্বি আওয়ামীলীগ করতেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য যে গত উপজেলা নির্বাচনে প্রদীপ রায় নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলে হাফিজুর রহমান ও কিছু আওয়ামীলীগ নেতা নৌকা প্রতীকের বির“দ্ধে অবস্তান নেন বলে জনশ্রতি আছে। আও্হাযামীলীগ নামধারী হাফিজুর রহমান তালুকদার উপজেলা নির্বাচনে নাছির উদ্দিন চৌধুরীর মনোনিত প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।নির্বাচনের পর পরই সুবিধা বঞ্চিন যাহাতে না হন, তরিঘরি করে আওয়ামীলীগে চলে আসেন বলে অভিযোগ উঠে। নাম প্রকাশ করার না শর্তে একজন বিশিষ্ট আওয়ামিলীগ নেতা বলেন, হাফিজুর রহমান তালুকদার এখনও উপজেলা বি এন পির সহ সভাপতি!তিনি বলেন অন্য দলের সহ সভাপতি থাকার পরও একজন পরিক্ষিত আওয়ামীলীগ নেতার সমালোচনা করা অনেক টা হাসির পাত্রে পরিনত হয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান মাষ্টার। এ ব্যাপারে দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক প্রদীপ রায় বলেন আমি সুনামগঞ্জ আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় যে বক্তব্য দিয়েছি তা দিবালোকের মত সত্য।আমার কথা সত্য হওয়ায় নব্য আওয়ামীলীগার দিরাই উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি হাফিজুর রহমান মাস্টার মনগড়া কথা বার্তা বলে যাচ্ছেন।আমি তাহার দেয়া প্রতিবাদ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।