শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের সংবাদ সম্মেলন
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ ও এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন হতে অতিরিক্ত ৪% কর্তন বন্ধের দাবীতে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরাম সংবাদ সম্মেলন করেছে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের এমবিএ বেলাল-গোপাল দেব চৌধুরী মিলনায়তনে বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সংগঠনের শ্রীমঙ্গল উপজেলা শাখার সভাপতি বিমান বর্ধন।লিখিত বক্তব্যে বিমান বর্ধন বলেন, দেশের শতকরা ৯৭ ভাগ শিক্ষাব্যবস্থার মূল চালকের ভূমিকায় বেসরকারি শিক্ষকরা। শিক্ষকদের অমর্যাদা, লাঞ্ছনা ও বৈষম্যের শিকার করে মানসম্মত শিক্ষার প্রত্যাশা অমূলক। শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের আকর্ষনীয় বেতন-ভাতা, মর্যাদা ও সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করা জরুরি। দেশের বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার মানের নিম্নমুখী প্রবণতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একমাত্র গুণগতমানের মেধাবী শিক্ষরাই পারেন এ থেকে উত্তরণ। বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করা হলে শুধুমাত্র শিক্ষকরাই উপকৃত হবেন না; এর সুবিধা ভোগ করবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সন্তানরা।সকল নাগরিকদের শিক্ষার সমান অধিকার নিশ্চিত করণ,একমাত্র সমাধান শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয় করণ। জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বিশ্বমানের শিক্ষার বিকল্প নাই উল্লেখ করে সংগঠনের পক্ষ থেকে আগামী মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের ঐতিহাসিক ঘোষণা দেবেন- এমনটাই প্রত্যাশা করছেন।সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ঝলক কান্তি চক্রবর্তী ও সাবেক সভাপতি নোমান আহমেদ সিদ্দিকী, বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি বিপ্লব কান্তি দাশ, শ্রীমঙ্গল উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি কামরুল হাসান, মো. বিল্লাল হোসেন, মো. নুরুল হক, মো. আবু আজম, জাবেদ মিয়া, শামসুল আলম, মো. আব্দুল্লাহ আল মনসুর, মো. ফারুক আহমদ, তারিক হাসান প্রমুখ শিক্ষক নেতারা।