গোয়ালন্দে ফেরি থেকে ছিটকে পদ্মায় ডুবে শিশু নিখোঁজ
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি থেকে ছিটকে পড়ে পদ্মা নদীতে ডুবে গেছে রুকাইয়া নামে পাঁচ বছরের এক শিশুকন্যা। পরে নদীতে নেমে অনেক খোঁজ করেও মেয়েটির কোনো সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ রুকাইয়া ঝিনাইদহের শোলকোপা থানা এলাকার মাছ ব্যবসায়ী মো. সেলিম মিয়ার মেয়ে। মঙ্গলবার ভোর রাতে দৌলতদিয়া ৩ নম্বর ফেরিঘাটে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অসুস্থ মামীকে চিকিৎসা করাতে মঙ্গলবার ভোর রাতে রুকাইয়া তাঁর মা-বাবাসহ পরিবাবের অপর লোকজনের সঙ্গে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ পাড়ি দিতে রুকাইয়া তাঁর মায়ের হাত ধরে ৩ নম্বর ফেরিঘাটে ভিড়ে থাকা রজনীগন্ধা নামে একটি ইউটিলিটি ফেরিতে গিয়ে ওঠেন। কিছুক্ষণ পর মেয়েটিকে দাঁড় করিয়ে রেখে তাঁর মা জেসমিন আক্তার টয়লেটে যান। এ সময় অপর একটি ফেরির প্রচণ্ড ধাক্কায় রজনীগন্ধা ফেরিটি ঝাঁকুনিতে দুলে ওঠে। ঝাঁকুনিতে শিশু রুকাইয়া ফেরি থেকে ছিটকে পদ্মায় ডুবে যায়। শিশুটিকে ফেরি থেকে ছিটকে নদীতে পড়ে যাওয়া দেখে উপস্থিত ফেরি যাত্রীদের অনেকেই চিৎকার করতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে রুকাইয়ার মা-বাবাসহ তাঁর পরিবারের লোকজন দ্রুত এগিয়ে এসে রুকাইয়াকে দেখতে না পেয়ে তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে নিখোঁজ মেয়েটির সন্ধান পেতে তাঁর স্বজনসহ স্থানীয় লোকজন নদীতে নেমে তল্লাশি চালান। খবর পেয়ে রাজবাড়ীর ফায়ার সার্ভিসের একদল ডুবুরি ঘটনাস্থলে পৌঁছে সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালায়। কিন্তু মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ফেরি থেকে ছিটকে পড়ে পদ্মায় ডুবে যাওয়া ওই মেয়েটির কোনো সন্ধান মেলেনি। বিআইডাব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।