সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ-লামা টুকেরবাজার সড়কের ডাউকা সেতুর সংযোগ সড়কের একাংশ ধসে পড়েছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে দ্রুত সংস্কার কাজ না হলে যে কোনো মুহূর্তে সরাসরি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার রসুলগঞ্জ-লামা টুকের বাজার সড়কের রসুলগঞ্জ বাজার নিকটবর্তী ডাউকা নদীর ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের অর্থায়নে ২০০১ সালে প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ডাউকা সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ওই সেতুর সংযোগ সড়কের একাংশ ধসে পড়লে স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথপুরের এলজিইডির উদ্যোগে কিছু সংস্কার কাজ করা হলেও ফের ওই স্থানে ধস দেখা দিয়েছে। এ সেতু দিয়ে প্রতিদিন পাটলী ইউনিয়নের সেরা মোহাম্মদ, লামা টুকের বাজার, দরিকুঞ্জনপুর, যোগলনগর, পূর্ব বসন্তপুর, গোবিন্দপুর, মীরপুর ইউনিয়নের উত্তর গড়গড়ি, কচুরকান্দি, পাশের ছাতক থানার বসন্তপুর, তালুপাট,নরসিংহপুর, সুতারকালি, খাড়াটা,ভাটিপাড়া, বোরাইয়া ও সিংহেরকাচ গ্রামের লোকজন যাতাযাত করেন। এলাকার যুবক আবু জিলানী বলেন, পাটলী ও মীরপুর ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের লোকজন প্রতিনিয়ত এ সেতু দিয়ে চলাফেরা করে। এ ছাড়া আমাদের পাশের ছাতক থানার আরো আটটি গ্রামের লোকজন এ সড়ক দিয়ে যাতাযাত করে। দ্রুত সংস্কার কাজ করা না হলে দুর্ভোগে পড়বে ১৭টি গ্রামের মানুষ। রসুলগঞ্জ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন জসিম বলেন, প্রায় ১৪ মাস পূর্বে সেতুর সংযোগ সড়কে ধস দেখা দিলে কিছু সংস্কার কাজ করা হলেও সম্প্রতি ওই স্থানে ভাঙন বড় আকার ধারণ  করেছে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে শত শত ছোট বড় যানবাহন চলাচল করছে। পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক বলেন, 'জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর সংযোগ সড়কে সংস্কার কাজের জন্য একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আশা করছি দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু হবে।' জগন্নাথপুরের এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম সারোয়ার বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ