মস্কোতে আগের দিন হেরে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। পরদিন ইংল্যান্ড মিশনটা ভালোভাবেই সেরে নিল বার্সেলোনা। মেসির জোড়া গোলে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বে ইংলিশ জায়ান্ট টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারিয়েছে বার্সা। বুধবার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে বার্সা জিতেছে ৪-২ গোলে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপপর্বে বার্সার প্রথম দুই ম্যাচেই জয়ের ধারায় থাকল। ‍পূর্ণ ছয় পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপে বার্সা আছে সবার উপরে। একইদিনে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান ২-১ গোলে হারিয়েছে পিএসভি এইনদোভেন। তাদেরও অর্জন সমান ছয় পয়েন্ট। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম দুই ম্যাচ থেকে টটেনহ্যাম ও এইনদোভেনের খাতায় কোনও পয়েন্ট যোগ হয়নি। গোলরক্ষকের ভুলে দুই মিনিটের মধ্যেই গোল খেয়ে বসে হটস্পার। মেসির কাছ থেকে বল পাওয়া জর্দি আলবাকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বা দিকে এগিয়ে যান টটেনহ্যাম গোলরক্ষক উগো লরিস। তখন নিজে শট না নিয়ে গোলপোস্টের সোজা পেছন দিকে বল বাড়িয়ে দেন আলবা। ফাঁকা গোলপোস্টে সেই বল পাঠিয়ে দেন ফিলিপ কুটিনহো।খেলার ২৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইভান রকিতিচ। মেসির বাড়ানো বল ডান দিকে গোললাইনের পাশে পান সুয়ারেজ। সেখান থেকে গোলপোস্টের সামনে ব্যাকপাস দেন তিনি। সেই ব্যাক পাস থেকে বল পেয়ে দারুণ এক ভলিতে গোল করেন রকিতিচ। প্রথমার্ধে এই ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল বার্সা। তবে ৫২ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমান বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুট জয়ী হ্যারি কেন। বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে একাধিক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান পায়ের দারুণ শটে গোলটি করেন তিনি। এরপর শুরু হয় মেসি জাদু। ৫৬ মিনিটে বাঁ দিক থেকে জর্দি আলবার পাসে বল পেয়ে আলতোভাবে সেই বল প্রতিপক্ষের জালে প্রবেশ করান মেসি। ৬৬ মিনিটে আবারও ব্যবধান কমায় হটস্পার। বক্সের বাইরে থেকে এরিক লামেলা দুর্দান্ত এক শটে বার্সার জালে জড়ান বল। এতে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের আভাস দেয় হটস্পার। খেলার শেষ মিনিটে মেসির আরেক গোলে অবশ্য শেষ হয়ে যায় সেই রোমাঞ্চ। ওয়েম্বলি থেকে দাপুটে জয়েই মাঠ ছাড়ে কাতালানরা।