বাউবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সরকার ঘোষিত ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত ৩৬ দিনব্যাপী ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (বাউবি) বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ০১ জুলাই ২০২৫ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঢাকাস্থ কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উদযাপন কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম। সভার শুরুতেই জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালে সংঘটিত ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে শহীদ বীরদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বাউবির প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, ট্রেজারার অধ্যাপক আবুল হাসনাত মোহাঃ শামীম, রেজিস্ট্রার ড. মোঃ শফিকুল আলম, বিভিন্ন একাডেমিক স্কুলের ডিন, প্রশাসনিক ও একাডেমিক বিভাগের পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, “জুলাই-আগস্ট ২০২৪ সালের গণআন্দোলন এদেশের ইতিহাসে একটি অনন্য গৌরবময় অধ্যায়। বৈষম্য, দুঃশাসন, স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সাধারণ ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তাঁদের আত্মত্যাগ, দৃঢ় মনোবল ও গণতান্ত্রিক চেতনার ফসল হিসেবে আমরা ফিরে পাই গণতন্ত্রের সুবাতাস, যা এক অর্থে জাতির পুনঃজাগরণ। তিনি বলেন, ‘এই ঐতিহাসিক আন্দোলনের চেতনা আজও আমাদের প্রেরণার উৎস। বর্তমান প্রজন্মকে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে এই দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরা অত্যন্ত জরুরি।”তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে অতীত ঐতিহ্য ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মূল্যবোধ ধারণ করে। তাই ৩৬ দিনব্যাপী এই কর্মসূচি আমরা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবো।”সভায় উপাচার্য ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত গৃহীত সকল কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে: আলোচনা সভা, শহীদদের স্মরণে বিশেষ দোয়া, তথ্যচিত্র প্রদর্শনী, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, পোস্টার, ব্যানার, ক্যাম্পেইন, র্যালি, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের স্মরণে’ জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ স্থাপন এবং স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন, জুলাই বিপ্লব সংশ্লিষ্ট গান, দেশাত্মবোধক গান ও নাটক প্রদর্শন।সভাশেষে উপাচার্যের দিকনির্দেশনায় তিনটি উপকমিটি গঠন করা হয়, যারা নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করবে।