বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির উদ্যোগে শনিবার (২১ জুন)  ঢাকার সিরডাপ অডিটোরিয়ামে ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেট নিয়ে“ বাজেট বিতর্ক : প্রসঙ্গ-অনুষঙ্গ” শীর্ষক সেমিনার এবং নীতি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবেউপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রনালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও  খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ্‌। একই কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন মডারেটর হিসেবে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ্‌ বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত বাজেট আপাতদৃষ্টিতেগতানুগতিক মনে হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি এবংভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনার জন্য এটি একটি শক্তিশালীহাতিয়ার, যা নির্ধারণ করতে পারে বাজেটের আয়প্রবাহকোন উৎস হতে আসবে আর কোন জনগোষ্ঠীর জন্যকোন কোন খাতে অর্থ ব্যয় হবে।
আলোচনাপর্যায়ে ঘোষিত বাজেটের ৯টি দিক নিয়ে প্রবন্ধউপস্থাপন করেন দেশের খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, পেশাজীবী ও নীতিনির্ধারকগণ। বাজেট প্রবন্ধেইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদজহির ঘোষিত বাজেটের স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি টেকসইউন্নয়নের দিকটির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বাজেটঘাটতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের আভ্যন্তরীণ ওবৈদেশিক ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে সংখ্যার হিসেবে আরোস্বচ্ছতা থাকা উচিত বলে মনে করেন। 
বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা পরিচালক মোঃ গুলজারনবী বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান জিডিপির আয়তন৪৬৭ বিলিয়ন উল্লেখ করে সামষ্টিক অর্থনীতির মধ্য ওদীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্তকরেন। এক্ষেত্রে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, রেমিট্যান্সপ্রবাহ এবং তৈরি পোশাক খাতের অবদানকে তুলে ধরেন।বাজেটে স্বাস্থ্য খাতের আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরস্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সিটিউটের অধ্যাপক শাফিউন নাহিনশিমূল প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনেরউদাহরণ টেনে স্বাস্থ্য বাজেটকে খাতওয়ারী খরচ হিসেবেচিন্তা না করে মানবসম্পদ উন্নয়নের একটি স্মার্টবিনিয়োগ হিসেবে গুরুত্ব আরোপ করেন এবং এক্ষেত্রেঘোষিত বাজেটের স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ জিডিপির ১.৭শতাংশকে অপ্রতুল মনে করেন। বাজেটে শিক্ষাখাতেরবরাদ্দ নিয়ে বিশ্লেষণ করে বিআইডিএস-এর গবেষণাপরিচালক জুলফিকার আলি শিক্ষা ও কর্মখাতের যেঅসামঞ্জস্য বিরাজমান তা দূরীকরণে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ওকারিগরি শিক্ষায় আরো বরাদ্দ দেওয়া উচিত বলে মনে করেন।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ