কুষ্টিয়া শহরে যৌথ বাহিনী অভিযানে আটক হয়েছেনন দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন। তাঁর সঙ্গে আরেক শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদসহ আটজনকে আটক করা হয়েছে। আজ ভোর পাঁচটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় সোনার বাংলা মসজিদের পাশে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সুব্রত বাইনকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ১০টি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা যায়। আজ মঙ্গলবার বেলা সোয়া তিনটার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি সূত্র। 
নব্বইয়ের দশকে ঢাকার অপরাধজগতের আলোচিত নাম ছিল সুব্রত বাইন। আধিপত্য বিস্তার করে দরপত্র নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজিতে তাঁর নাম আসা ছিল তখনকার নিয়মিত ঘটনা। এসব কাজ করতে গিয়ে অসংখ্য খুন-জখমের ঘটনাও ঘটেছে।
আজ সকাল নয়টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কালীশংকরপুর এলাকার ওই বাড়িতে গিয়ে বাসিন্দা ও স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন ঘণ্টা ধরে সেখানে অভিযান চালিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এলাকায় অধিকাংশ বাড়িতে মেস ভাড়া দেওয়া হয়। যে বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে, সেটির সামনে পৌরসভার সাইনবোর্ডে বাড়ির মালিকের নাম লেখা মীর মহিউদ্দিন। তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মেসে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ১৮ জন ছাত্র থাকেন। মেসের কয়েকজন ছাত্রের ভাষ্যমতে, নিচতলায় এই বাড়ির পেছনের বাড়ির এক স্থানীয় বাসিন্দা দুই মাস আগে ভাড়া নেন। ১২ থেকে ১৫ দিন আগে অতিথি পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তিকে রেখে যান। নিচতলায় কী হয় বা কারা থাকেন, তা কখনো দেখেননি তাঁরা। তবে একজনকে দিনে দু-একবার শুধু খাবার খাওয়ার সময় বের হতে দেখেন।
ছাত্ররা জানান, আজ ভোর পাঁচটার কিছু সময় পর বাড়ির সামনে সেনাবাহিনীর পাঁচ থেকে ছয়টি গাড়ি আসে। গাড়ির বহরে একটি কালো মাইক্রোবাসও ছিল। ২০ থেকে ৩০ জন সেনাসদস্য বাড়ির তালা খুলতে বলেন। তালা খোলার পর তাঁরা দোতলা ও তিনতলায় ওঠেন। এরপর মেসের সব বাসিন্দাকে দ্বিতীয় তলার একটি ও তৃতীয় তলার একটি কক্ষে রাখেন। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘তোমাদের কোনো ভয় বা সমস্যা নেই। তোমরা বসে থাকো। এখানে অভিযান চলছে।’ সেনা কর্মকর্তা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে কথা বলেন বলে ছাত্ররা জানান। দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তি ওই মেসে থাকে কি না, সেটি জানতে চান।
প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে নিচতলায় তল্লাশি চলে। আটটার কিছু সময় পর কালো মাইক্রোবাসটি একদম গেটের সামনে চলে আসে। নিচতলা থেকে দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তিকে হাতকড়া পরা ও মাথায় গামছা বাধা অবস্থায় গাড়িতে তোলা হয়। আরেক যুবকের কোমরে ও শরীরে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। এক ছাত্র কৌতূহলবশত জানতে চান, কাকে নিয়ে যাচ্ছেন? তখন একজন সেনা কর্মকর্তা তাঁদের বলেন, ‘এখন বিস্তারিত বললে ভয় পাবা। পরে মিডিয়াতে দেখে নিয়ো।’

তবে সেনাবাহিনী বা পুলিশের তরফ থেকে আটকের তথ্য এখনো নিশ্চিত করা হয়নি। আজ মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত শহরের কালীশংকরপুর এলাকায় সোনার বাংলা মসজিদের পাশে একটি বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ফয়সাল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের কোনো অভিযান ছিল না। অন্য কোনো বাহিনী করছে কি না জানি না। জানার চেষ্টা করছি।’
সকাল নয়টার দিকে কালীশংকরপুর এলাকার ওই বাড়িতে গিয়ে বাসিন্দা ও স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিন ঘণ্টা ধরে সেখানে অভিযান চালিয়েছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এলাকায় অধিকাংশ বাড়িতে মেস ভাড়া দেওয়া হয়। যে বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে, সেটির সামনে পৌরসভার সাইনবোর্ডে বাড়ির মালিকের নাম লেখা মীর মহিউদ্দিন। তিনতলা বাড়ির দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার মেসে বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের ১৮ জন ছাত্র থাকেন। মেসের কয়েকজন ছাত্রের ভাষ্যমতে, নিচতলায় এই বাড়ির পেছনের বাড়ির এক স্থানীয় বাসিন্দা দুই মাস আগে ভাড়া নেন। ১২ থেকে ১৫ দিন আগে অতিথি পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তিকে রেখে যান। নিচতলায় কী হয় বা কারা থাকেন, তা কখনো দেখেননি তাঁরা। তবে একজনকে দিনে দু–একবার শুধু খাবার খাওয়ার সময় বের হতে দেখেন।
ছাত্ররা জানান, আজ ভোর পাঁচটার কিছু সময় পর বাড়ির সামনে সেনাবাহিনীর ৫ থেকে ৬টি গাড়ি আসে। গাড়ির বহরে একটি কালো মাইক্রোবাসও ছিল। ২০ থেকে ৩০ জন সেনাসদস্য বাড়ির তালা খুলতে বলেন। তালা খোলার পর তাঁরা দোতলা ও তিনতলায় ওঠেন। এরপর মেসের সব বাসিন্দাকে দ্বিতীয় তলার একটি ও তৃতীয় তলার একটি কক্ষে রাখেন। 
প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে নিচতলায় তল্লাশি চলে। আটটার কিছু সময় পর কালো মাইক্রোবাসটি একদম গেটের সামনে চলে আসে। নিচতলা থেকে দাড়িওয়ালা এক ব্যক্তিকে হাতকড়া পরা ও মাথায় গামছা বাধা অবস্থায় গাড়িতে তোলা হয়। আরেক যুবকের কোমরে ও শরীরে দড়ি দিয়ে বাধা ছিল। এক ছাত্র কৌতূহলবশত জানতে চান কাকে নিয়ে যাচ্ছেন। তখন একজন সেনা কর্মকর্তা তাঁদের বলেন, ‘এখন বিস্তারিত বললে ভয় পাবা। পরে মিডিয়াতে দেখে নিয়ো।’
স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল আলম বলেন, তিনি সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখতে পান সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়ি। দুই ব্যক্তিকে আটক করে গাড়িতে করে চলে যায়। স্থানীয় আরেক যুবক বলেন, সকালে বাড়ির জানালা দিয়ে দেখতে পান, সড়কে সারিবদ্ধভাবে সেনাবাহিনীর অন্তত পাঁচটি গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে। ঘণ্টাখানেক পরে দুই ব্যক্তিকে আটক করে গাড়িগুলো চলে যায়।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ