জামাতের ইফতারের প্রস্তুতিকালে বিএনপি'র হামলা, ২ জামাত কর্মি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
দিনাজপুরের বীরগঞ্জের শিবরামপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড রথের বাজার মসজিদের পাশে জামাত পূর্ব নির্ধারিত ২৭ রমজানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহবুল খাঁ ছোট ভাই আশাবুদ্দিন খাঁ জামাতকে ওই স্থানে ইফতার করতে দিবে না মর্মে হুমকি দেয়। জামাত কর্মী আহত আনিসুর রহমান জানায়, বিএনপি নেতা আশাবুদ্দিন খাঁ এর বাধার পর অদ্য ২৮ মার্চ শুক্রবার পার্শ্ববর্তী একটি মিলের চাতালে ইফতারের প্রস্তুতি চলাকালে দেউলী গ্রামের খকন খাঁ এর পুত্র ও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মহবুল খাঁ এর ছোট ভাই বিএনপি নেতা আশাবুদ্দিন খাঁ বাধা দেয়। জামাতের কর্মীরা তাদের কথা কর্ণপাত না করে আয়োজন করতে থাকে। উক্ত ঘটনার জের ধরে ইফতার আয়োজক কমিটির সদস্য শিবরামপুর গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র জামাত কর্মী আনিসুর রহমান বাজারে একটি চায়ের দোকানে ছেলেকে নিয়ে গেলে সেখানে তার উপর হামলা চালায়। বর্তমানে সে বীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসাধীন রয়েছে। আনিসুরের উপর হামলার প্রতিবাদে মামাতো ভাই দেউলী গ্রামের আব্দুল কাদেরের পুত্র দেলোয়ার হোসেন এগিয়ে এলে তার উপরেও হামলা চালায়। আমি নিজেও এক সময় বিএনপি'র সমর্থক ছিলাম। ৫ই আগস্ট এরপর বিএনপি'র কর্মকাণ্ডের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে জামাতের কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করি।
ওয়ার্ড জামাতের আমির আব্দুল্লা বলেন, জামাত কর্মী আনিসুর রহমানের উপর বাজারে হামলা চালানোর পর বাজারের পাশে ইফতারের আয়োজনস্থল পার্শ্ববর্তী মিলের চাতালে গিয়ে হামলা চালিয়ে সাধারণ সম্পাদক আবু বক্করের মোটরসাইকেলটি ভেঙ্গে দেয়।
ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মাহাবুর রহমান খাঁ বলেন, আমি বাসায় ছিলাম মারামারির ঘটনা শুনে বাজারে গেলে আনিসুর রহমান আমার উপর হামলা চালায়। এতে আমিও আহত হই। আনিসুর বিএনপির কর্মী ছিলো। আমি বীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনজুরুল ইসলাম মঞ্জুর গ্রুপের সঙ্গে কাজ করি।
ইউনিয়ন জামাতের আমির আব্দুর রহমান বলেন, ইফতার বানচালের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাই। আহতদের প্রয়োজনীয় সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। হামলার পর স্থানীয়ভাবে ইফতার বন্ধ করার চিন্তা করা হয়। তবে উপজেলার নেতাদের নির্দেশে যথাসময়ে ইফতার অনুষ্ঠিত হয়েছে।অপরদিকে এলাকাবাসী জানায়, উক্ত ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বীরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল গফুর বলেন, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হামলাকারি পক্ষ প্রতিপক্ষরা সরে যায়। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।