কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত -৪০
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাগলা কুকুরে কামড়ে নারী শিশুসহ ৪০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্য দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকার মহাখালী হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। আজ সোমবার রাত পর্যন্ত উপজেলা ও পৌর শহরের নারী শিশুসহ ৪০ জন পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছে। আহতরা হলেন, ফাতেমা ( ৪২), দ্বীপ (১১), শারিয়া ইসললাম (০৭) আব্দুর রহমান (০৬) আছমা (৩৫), মৌসুমী (০৯), নারায়ণ চন্দ্র দাস (৪৫), মুনতাহা (২৭), আদিল (৩০), রহমান ( ১১), সাহারা (৫০), আছমা (৪৮), জান্নাত (০৫), শাহেরা (৮০), ইয়াছিন (১২), তানজিল (১০), বাচ্চু (৫০), মার্জিয়া (১১), রফিয়া (২৭), রাতুল (১৬), মারুফা (১৭), ঈশান (১৪), সুইটি (১৬), হোসাইন (০৮), রাইয়ান ( ১০)। এছাড়া বাকী রোগী উপজেলার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা যায়। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত ভৈরব উপজেলার শিমূলকান্দি, মধ্যচর, গোছামারা, রসুলপুর ও পৌর শহরের চন্ডিবের, দড়ি চন্ডিবের, আমলাপাড়া, ভৈরবপুর এলাকায় পাগলা কুকুরে নারী শিশুসহ ৪০ জন আহত হয়েছেন। এদিকে দুপুর থেকে কুকুরের কামড়ে রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে ভীঁড় করছেন। শিমুলকান্দি ইউনিয়নের গোছামারা এলাকার বাসিন্দা আকলিমা বেগম সন্ধ্যার দিকে তার ছেলে সারিয়ানকে আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিতে আসেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে। তিনি জানান, সন্ধ্যার দিকে আমার ছেলে বাড়ির পাশে খেলাধুলা শেষ করে সড়ক থেকে বাড়ির ভিতরের প্রবেশ করার সময়ে হঠাৎ করে একটি পাগলা কুকুর আমার ছেলের পায়ে কামড় দেয়। এসময় তার সাথর থাকা আরেকজনকেও কামড় দেয়। তাদের চিৎকার শুনে ঘর থেকে আমরা দৌড়ে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আলমগীরের স্ত্রী আহত হোসাইনের মা রহিমা বেগম বলেন,বাসা থেকে বের হয়ে সড়কে উঠা মাত্রই কামড় দেয় কুকুর। পরে ছেলের কান্না শুনে দৌড়ে গিয়ে কুকুরের কাছ থেকে আমার ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.উম্মে হাবিবা জুই জানান, এখন পর্যন্ত ২৮ জন রোগী কুকুরে কামড়ে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালেও কুকুরের কামড়ে আহত রোগীরা চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্য দুজনকে ঢাকার মহাখালী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করা হয়েছে। বাকীরা চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যায় বলে তিনি জানান।