পিরোজপুরের নাজিরপুরে যাবজ্জীন সাজাপ্রাপ্ত আসামী আঃ কুদ্দুস ২৬ বছর পর গ্রেফতার
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলায় ২৬ বছরের পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার হয়েছে। জানা গেছে উপজেলার ১নং মাটিভাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর বানিয়ারী সাকিনস্থ আব্দুল মন্নান হাওলাদার এর পুত্র আব্দুল কুদ্দুস (৫২) নারী ও শিশু নির্যাদন দমন আইনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক ছিলেন। ১২ই নভেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নাজিরপুর থানায় কর্মরত এ এস আই (নিঃ) হিরন তার সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঐ এলাকায় গভীর রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মাহামুদ ফরিদ এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিনিধিকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বলেন, ধৃত ঐ আসামীকে ঝালকাঠী জেলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ১৯৯৮ সালে যাবজ্জীবন কারাদন্ড রায় ঘোষণা করেন। ঐ মামলায় থানায় ওয়ারেন্ট আসে, আসামী দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয় নাই। তবে ১২ নভেম্বর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামীকে বিশেষ অভিযান চলিয়ে গ্রেফতার করা হয় এবং ধৃত আসামীকে পিরোজপুর বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান। ধৃত আসামীর সঙ্গে কথা বললে তিনি এ প্রতিনিধিকে জানান, ১৯৯৮ সালে ঝালকাঠী জেলার মানপাশা পরমহল গ্রামে আনোয়ার মোল্লার বাড়ীতে দৈনিক ৫০ টাকা মজুরিতে ২ বছর ধান কাটা সহ বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ঐ সুবাধে আনোয়ার মোল্লার মেয়ে শাহানাজ এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং শাহানাজকে চট্টগ্রাম শহরে নিয়ে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক ২০,০০০/- টাকা দেন মোহর ধার্য করে বিবাহ করে ০১ মাস ঘর সংসার করেন। আনোয়ার মোল্লার অর্থনৈতিক অবস্থান ভালো থাকায় ধৃত আসামীর বাড়ী খোজ-খবর নিয়ে গরীব দেখে মেয়েকে কৌশলে বাড়ী নিয়ে আদালতে মামলা ঠুকে দেয়। ঐ মামলার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে ধৃত আসামী জানায়, মামলার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না। তবে ঐ ঘটনার পর থেকে ঐ ধৃত আসামী চট্টগ্রাম শহরে শফিক নামে ভোটার আইটি কার্ড করে গার্মেন্টস শ্রমিকের কাজ করে এবং নলছিটি থানা এলাকায় আরো একটি বিবাহ করেন। সেই সংসারে তাহার তিনটি সন্তান রয়েছে বলে জানান, এভাবেই তার দিন কাটতে থাকে বাড়ীর সাথে কোন যোগাযোগ না রেখেই। আকশ্মিক মায়ের গুরুতর অসুস্থতার সংবাদ শুনে ঐ সন্তানদের নিয়ে বাড়ীতে মা-কে দেখতে এসে পুলিশের হাতে ধৃত হন।