আন্দোলের অন্যতম আসামী শ্রীপদ কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে
সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহন শাখার কানুনগো হিসেবে দায়িত্বরত শ্রীপদ দেব বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২টি মামলার আসামী। তার জন্মস্থান শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের মাজেরগাঁও গ্রামের ঠাকুর চাঁন দেবের ছেলে শ্রীপদ দেব। গত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সময় সক্রিয় ভুমিকা রাখেন স্বৈরাচার সরকারের পক্ষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজপথে ছাত্রদের উপর হামলাও করেন বলে জানা গেছে অভিযোগে,গত ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজার মডেল থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্যাতিতা এক মেয়ে বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলা নং ৩৪/৩২৪ আসামী নং-৫৭। এছাড়াও শ্রীমঙ্গল থানায় তার উপর আরো একটি মামলা হয়েছে। রয়েছে বিগত সরকারের আমলে তার নামে বেনামের সম্পদের পাহাড় পিতার রেখে যাওয়া সাত শতকের বসবাসের ভিটে মাটি থেকে হয়েছে ৬০ শতকের বিশাল বাড়ীতে পরিনত। বাড়ীর ভিতরে চার দেওয়ালে রয়েছে ৩টি গেইট,এ যেন এক খেলার মাঠ। অর্ধ কোটি টাকা ব্যয়ে কারুকাজে ঘরসহ নির্মিত দালান। শ্রীমঙ্গল শহরস্থ পুরান বাজার রয়েছে বিল্ডিংসহ ১টি বাসা,সাবেক কৃষি মন্ত্রীর তাল মিলিয়ে কিনে নিছেন মিশন রোডস্থ জায়গাসহ বিল্ডিং,শহরের গুহ রোডে রয়েছে দোকান কোঠাসহ আরেকটি আলী শাসান বাসা। এছাড়াও শ্রীমঙ্গলের মৌলভীবাজার রোডে জমি কিনে রেখেছেন দেয়াল দিয়ে ঘিরে। ইউসুফপুর গ্রামে এলাকায় রয়েছে কয়েক বিঘা কৃষি ফসলি জমি। মৌলভীবাজার জেলা সদরের সৈয়ারপুরে রয়েছে ৩তলা বিশিষ্ট আলীশাসান বাসা যেখানে একটি প্লটে স্ত্রী সন্তান নিয়ে নিজেও থাকেন। বাকী প্লটগুলো দিয়েছেন ভাড়া। তার স্ত্রী একজন প্রাইমারি স্কুলে সরকারী শিক্ষা স্বামী চাকুরী শুভাত্বে সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গলে প্রাইভেট কার যোগে করেন আসা যাওয়া। চাকুরী জীবনে গড়ে তুলেছেন শত শত কোটি টাকার এই সম্পদের পাহাড়। এছাড়াও রয়েছে নামে বেনামে পরিবাররের সদস্যসহ শালার নামে সম্পদ। অনুসন্ধানী তথ্য সংগ্রহ বেরিয়ে আসে তার লুকিয়ে থাকা তলের বিড়াল। সে ২০১৩ সালে রাজনগর উপজেলা ভূমি অফিসে চাকুরী করাকালীন অতিরিক্ত দায়িত্ব ভারপ্রাপ্ত কানুনগো থাকাকালীন অর্পিত সম্পত্তি আইন বাতিল হলে অর্পিত্ত সম্পত্তি নামজারী করে দিতে গিয়ে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার মতো রয়েছে অভিযোগ। পরবর্তীতে শ্রীমঙ্গলে দায়িত্বে পালনকালীন সময় বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে অনিয়ম ও দুর্ণীতি করে টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন। সেসময় তার বিরোদ্ধে কোন অনিয়ম দুর্ণীতির প্রতিবাদ করার সাহস কারো ছিলনা। ভোক্তভূগীরা প্রতিবাদ করতে গেল প্রভাবশালী মহলের দ্বারা বিভিন্ন মিথ্যা মামলা ও হামলার শিকার হয়েছেন। বর্তমানে ফোরলেন রাস্থার ভূমি অধিগ্রহনের কাজেও সার্ভয়ারের দায়ীত্ব পালনকালে দুর্ণীতির আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে গেলে প্রথমে সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদকে তার অপকর্ম ঢাকার জন্য টাকার অফার দেন। যার অডিও ভিডিও রয়েছে। এতে রাজী না হওয়ায় প্রথমে বিভিন্ন মামলা ও প্রাণে হত্যা হুমকি ধামকি দেন। এক পর্যায়ে শ্রীপদ দেব এক প্রভাবশালীর ছত্র ছায়ায় কৌশলে বাসায় ডেকে নিয়ে এক নামধারী এক চাঁদাবাজ দিয়ে হামলা করে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করেন। এব্যাপারে এ,কে,অলক বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগ দিলেও রহস্যজনক কারনে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করেনি। এবিষয়ে শ্রীপদ দেবের সাথে মোবাইলে একাধিক বার যোগাযোগ পর ওর্য়ারসাফে কল দিয়ে বলেন,আমার নামে এগুলো মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক মামলা হয়েছে বলে জানান। পিতার ৭শতক ভূমি থেকে তিনি কিভাবে অঢেল সম্পদের মালিক হলেন জানতে চাইলে বলেন,আপনারা তদন্ত করে দেখেন। ক্ষোভ প্রকাশে একপর্যায়ে বলেন জায়গার কাগজ তো আর আপনাদের দেখা হবে না। বলে কল লাইন কেটে দেন তিনি। এব্যাপারে সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিলেট,তমালিকা পাল বলেন, সার্ভেয়ার শ্রীপদ দেব এর উপর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলার বিষয়ে এটা কোর্ট ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ব্যাপার। তারা এবিষয় বুঝবেন। সে অফিস করছে তাতে আমাদের কোন সমস্য নেই।