শেরপুর মেডিনোভা ডায়াগনস্টিকের ভুয়া রিপোর্টে অসুস্থ রোগীর অভিযোগ
শেরপুর মেডিনোভা ডায়াগনস্টিকের ল্যাব টেকনোলজিস্ট এর বিরুদ্ধে ভুয়া রিপোর্ট প্রদানের মাধ্যমে কিডনি রোগীর প্রায় তিন লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতির মত গুরুতর অভিযোগ করেছেন শেরপুর সদর উপজেলার বালুয়া কান্দা গ্রামের বাসিন্দা মো: আতিকুর রহমান।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী আতিকুর রহমান বিগত ২০ নভেম্বর শেরপুর সিভিল সার্জন বরাবর অভিযোগ করেছেন। অভিযোগসূত্র ও ভুক্তভোগী আতিকুর রহমানের ভাষ্যমতে," বিগত ২১ অক্টোবর ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আমাকে ক্রিটিনাইন পরীক্ষা করতে বললে, শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ খোলা না থাকায় সকাল ৮ টায় শেরপুর মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টেস্ট করালে ওই ডায়গনস্টিকের পরিচালক ও ল্যাব মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মোস্তাফিজুর দ্রুত সময়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা না করেই ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করে। পরবর্তীতে রিপোর্টের ফলাফল চিকিৎসকের সন্দেহ হলে তারা আমাকে অন্য কোথাও পরীক্ষা করাতে বললে, অন্য ডায়গনস্টিকের রিপোর্ট মোতাবেক আমার কিডনিতে ক্রিটিনাইনের মাত্রা বেশি ধরা পড়ে। পরবর্তীতে রিপোর্ট দেখে জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার আসাদুজ্জামান আমাকে দ্রুত ঢাকা কিডনি হাসপাতালে যেতে বলেন।
এরপর আমি কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ক্রিটিনাইন পরীক্ষা করালে আমার কিডনিতে সমস্যা ধরা পড়ে এবং দশ দিন ওই হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করে সুস্থ হই। এতে আমার প্রায় তিন লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। সমস্ত রিপোর্ট অভিযোগে সংযুক্ত করে দিয়েছি। তাই আমি চাই মেডিনোভা ডায়াগনস্টিক দ্রুত বন্ধ করা হোক এবং এর মাধ্যমে যাতে কেউ অপচিকিৎসার শিকার না হন। "অভিযুক্ত ওই ডায়াগনস্টিকের মালিক ও টেকনোলজিস্ট মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার মেশিন ঠিক ছিল এবং রিপোর্ট সঠিক। আতিকের দাবি ঠিক নয়। এ ব্যাপারে শেরপুর সিভিল সার্জন ডা. অনুপম ভট্টাচার্য এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, শেরপুর মেডিনোভা ডায়গনস্টিকের বিরুদ্ধে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।