বিরলে সরকারিভাবে কমিউনিটি ভিত্তিক পানি সরবরাহ স্কিমের কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ
দিনাজপুরের বিরলের মাধববাটী গ্রামের হঠাৎপাড়ায় সরকারিভাবে কমিউনিটি ভিত্তিক পানি সরবরাহ স্কিমের আওতায় সাবমারসেবল স্থাপনে স্থানীয় ইউপির চেয়ারম্যানসহ কতিপয় ব্যাক্তির বাঁধায় পানির টেংকি নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।
পাড়ার মাঝখানে স্থাপনের দাবি চেয়ারম্যানের এবং ভুমিহীনরা বলছেন অন্যকথা মাঠ প্রশ্বস্ত করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে মাঠের পাশের বসতবাড়ী উচ্ছেদ করার জন্য চেয়ারম্যানের পরিকল্পনা। বিষয়টি নিয়ে পাল্টা-পাল্টি অভিযোগ শুরু হয়েছে।
ভুমিহীনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জানা গেছে, উপজেলার মাধববাটী মৌজায় ৭ একর ৬০ শতক ভিপি সম্পত্তি ওই এলাকার প্রভাবশালী জনৈক মোজাম্মেল হক নামের এক ব্যাক্তি দীর্ঘদিন থেকে ভোগ দখল করে আসছে। ভুমিহীন পরিবার গুলো জানতে পেয়ে শতাধিক ভুমিহীন পরিবার ঔক্যবদ্ধ হয়ে ভিপি সম্পত্তি প্রভাবশালীর দখল উ”্ছদে করতে গিয়ে হামলা-মামলার শিকার হতে হয়েছে ভুমিহীনদের। প্রভাবশালী ওই ব্যাক্তি ভুমিহীনদের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে বিভিন্ন রকমের হয়রানীমুলক প্রায় ২০ টি মামলায় জড়ানো হয় ভুমিহীনদের। হামলা-মামলার শিকার হয়ে জনৈক মোজাম্মেল হকের দখলে থাকা প্রায় সাড়ে ৭ একর ভিপি সম্পত্তি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় ভুমিহীনরা। পরবর্তীতে ২০১১ সালে সরকার ৬৯ টি ভুমিহীন পরিবারের নামে বরাদ্দ দেন এবং সরকারি নির্ধারিত খাজনাদি পরিশোধ পুর্বক বসতবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে। ওই সম্পত্তিতে ভুমিহীনদের বসতবাড়ি বাড়ী ছাড়াও রয়েছে বিশাল একটি খেলার মাঠ ও মসজিদ।
এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিগন মাঝেমধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মারুফ হোসেনের নাম ভাঙ্গিয়ে খেলার মাঠ বাড়ানোর জন্য প্রভাবশালী মহল ভুমিহীনদের বসতবাড়ী উচ্ছেদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে বলে ভুমিহীনদের অভিযোগ। এ ঘটনায় ভুমিহীনরা তাদের বসতবাড়ী উচ্ছেদ করা না হয় এজন্য স্থানীয় সাংসদসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেন ভুমিহীনরা।
সম্প্রতি বিরল উপজেলার কমিউনিটি ভিত্তিক পানি সরবরাহ স্কিমের আওতায় সাবমারসেবল স্থাপনের বরাদ্দ দেন সরকার। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ ওঠেছে। বাঁধা প্রদানের কারণে সাবমারসেবলের টেংকি স্থাপন কাজ বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে ৫ নং বিরল ইউপি চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন বলছেন ভিন্ন কথা। ওই পাড়ায় বসবাসরত সকলের সুবিদার্ধে পাড়ার মাঝখানে সাবমারসেবল স্থাপন না করে এক পার্শ্বে স্থাপন করতে নিষেধ করা হয়েছে মাত্র। বিরল উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ সাবমারসেবল পাইপ বড়িং করার আগে স্থান নির্বাচন করার সময় আমাকে চেয়ারম্যান) জানানো হয়। পাড়ার মাঝখানে না বসিয়ে এক পাশে বসানোর কারনে আমি নিষেদ করেছি মাত্র। অন্যত্র সরিয়ে নিতে যা খরচ হবে তাও আমি বহন করতে চেয়েছি।
বিরল উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ জানান, বিরল উপজেলার ৫ নং বিরল ইউনিয়নের মাধববাটী গ্রামে হঠাৎপাড়ায় কমিউনিটি ভিত্তিক পানি সরবরাহ স্কিমের আওতায় সাবমারসেল স্থাপনের বরাদ্দ হয়। বরাদ্দ মোতাবেক পাইপ বড়িং কাজ সম্পনও করা হয়। ৫ নং বিরল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন বাঁধা প্রদান করায় কাজ বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে। তিনি স্থানীয় সাংসদ নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মহোদয়কে অবগত করেছেন। সাংসদ মহোদয় স্বীদ্ধান্ত দিলেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।