সুযোগ পেলে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত ফতুল্লা একটি আদর্শ ইউনিয়ন করতে চাই----লিটন
না ফেরার দেশে চলে গেছেন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন। তার মৃত্যুতে ফতুল্লা ইউনিয়নবাসীর মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছাঁয়া।দীর্ঘ ১ যুগ ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করা চেয়ারম্যান স্বপনের মৃত্যুর পর ফতুল্লাবাসীর জন্য নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে উপ নির্বাচনের ডামাঢোল ইতিমধ্যেই বেজে উঠেছে। তবে সেই নির্বাচনে কে প্রার্থী হবেন এ নিয়ে ইউনিয়নবাসীর মধ্যে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা। জানা গেছে, মনোনয়ন যুদ্ধে মাঠে নামার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন ফুতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট নেতা। সেই তালিকায় রয়েছে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদ আহমেদ লিটন। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতার বিষয়টি এ প্রতিনিধিকে নিশ্চিত করে লিটন বলেন, যেহেতু আমি রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি তাই এলাকার জনগনের সুখ দু:খে সবসময় পাশে থাকার চেষ্টা করি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৃমূলের শক্তিশালী সংগঠন ইউনিয়ন পরিষদ। তাই যদি মাননীয় এমপি মহোদয় আমাকে সুযোগ দেন তাহলে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকার সর্বস্তরের মানুষের কল্যানে কাজ করতে আগ্রহী। আমি সকলের নিকট দোয়া ও সমর্থন কামনা করছি।তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সকলের মতামতের ভিত্তিতে একটি আদর্শ সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত মডেল ইউনিয়ন গঠনে কাজ করে যাব।এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদে এর আগে দীর্ঘ ৩ দশক চেয়ারম্যান ছিলেন নূর হোসেন। তার প্রয়াণের পরে ২০১১ সালের ১৬ মে ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন। দীর্ঘ ৩০ বছর পর ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জয়ী হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন। আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী খন্দকার লুৎফর রহমান স্বপন (নৌকা) পেয়েছিলেন ২৮ হাজার ৬৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলী (হাতপাখা) পেয়েছিলেন ১৪ হাজার ১৭৭ ভোট। উল্লেখ্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর না ফেরার দেশে চলে যান স্বপন চেয়ারম্যান।