শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে দিনে দিনেই বাড়ছে অপারেশনজনিত কারণে ইনফেকশন আক্রান্ত মা রোগীর সংখ্যা।শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের SAM Unit এ গিয়ে দেখা যায়, যেসব গর্ভবর্তীদের সদর হাসপাতালে সিজার করে নবজাতক প্রসব করা হয়েছে তাদের প্রায় জনই এরকম ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়ে  ভূগছে, যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা ভালোনা তারাই শুধু সদর হাসপাতালের SAM. Unit এ কেউ আছে ২৫ দিন ধরে কেউ ২০দিন কেউ ১০ দিন ধরে ভর্তি রয়েছে, এখনো এরকম প্রায় ১০দশ জন ভর্তি রয়েছে। এরা সুস্থ হয়ে কবে বাড়ি ফিরবে নাকি আদৌ ফিরবেনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই এই ইউনিটের চিকিৎসকদের কাছে।এরমধ্যে আবার, শুক্র ও শনিবারসহ সরকারী ছুটির দিনে এই ইউনিটে থাকেননা কোনো চিকিৎসক। বিষয়টি জানান এই ওয়ার্ডে দায়িত্বরত নার্সরা।এতে চরমভাবে ব্যহৃত হচ্ছে চিকিৎসা, এ সপ্তাহে টানা তিনদিন ছুটি থাকায় আরও একদিন আগে বুধবার থেকেই নেই এই SAM. Unit এর নারী চিকিৎসকগণ। এতে ২৫ দিন যাবত ভর্তি থাকা সিমা নামের এর ইনফেকশন আক্রান্ত এক রোগীর মারাক্তক যন্ত্রণা হওয়া স্বত্বেও তিনদিন ধরে ডাক্তার না পেয়ে শুক্রবার চলে যায় বেসরকারী ক্লিনিকে।আর এই ক্লিনিক ব্যবসা রমরমা করতেই নাকি অযত্ন অবহেলায় সিজারিয়ান জিনিস পত্র পর্যাপ্ত পরিমান জীবানুমুক্ত না করেই তড়িঘড়ি করে অপারেশন করছেন চিকিৎসক ও তার সহযোগীরা। এ কারনেই এরকম ইনফেকশন আক্রান্ত হচ্ছে মায়েরা। এতে যেমন তাদের নিজেদের জীবন ঝুঁকির মূখে, তেমনি মা ছাড়া নবজাতক সন্তানরাও থাকে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে। যার ফলে অর্থশালী লোকেরা চলে যায় সদর হাসপাতালের আশ পাশে ব্যঙ্গের ছাতার মত গজিয়ে উঠা ক্লিনিক গুলোতে। এসব কথা জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী রোগীরা ও তাদের সাথে থাকা স্বজনরা।SAM,Unit এর বেডে ভর্তি থাকা ইনফেকশন আক্রান্ত রোগীরা জানান, তারা ২০দিন ২৫ দিন কেউ ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে ভর্তি আছেন, কিন্তু ইনফেকশনের কোনো উন্নতি হয়না, এছাড়াও আরও বলেন এই কয়দিনে এরকম অনেক রোগী ডাক্তার না পেয়ে অসহ্য যন্ত্রণার কাতরাইয়া অন্য জায়গায় চিকিৎসা নিতে চলে যেতে দেখেছি, , আমরা গরীব বলেই এখানে পড়ে আছি, কবে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবো নাকি আর সুস্থ হবোনা তাও জানিনা। এই ইউনিটের ২০,৩৬,৪০,৪১,৪৩সহ আরো বেশ কয়েকটি বেডে ভর্তি থাকা রোগীরা এখনো যন্ত্রনাদায়ক অবস্থার মধ্যে রয়েছে।প্রতিবেদককে SAM. Unit এ দায়িত্বরত চিকিৎসক কারা রয়েছেন, সে বিষয়টি খোলসা না করেই, তাদের SAM.Unit এর ও অপারেশন থিয়েটারের কিছু অবহেলার কারণে ইনফেকশন আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, প্রোয়োজন দিনে ৫টা সিজার করবে, তাহাহুড়ো করে বেশি সিজার করে কোনো রোগীর ক্ষতি করার অধিকার কারো নেই বলে জানান শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান খান। তিনি আরো জানান, তিনি এখন হাসপাতালে নেই রোববার এসে বিষয়টা ক্ষতিয়ে দেখবেন।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ