নারায়ণগঞ্জে জাতির জনকের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া,খাবার ও বস্ত্র বিতরণ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল, খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সৈয়দপুর নাসিম ওসমান তৃতীয় সেতু চত্ত¡র এলাকায় এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদর থানা কৃষকলীগের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল ও বিশেষ অতিথি হিসেবে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি নাজিম উদ্দিন আহমেদ ও জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক ও সাবেক জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্য পাকিস্তানিরা অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু পারেনি। বিশ্বের জনমত উপেক্ষা করার সাহস তারা পায়নি। তাই বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে তারা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলো। ১৯৭২ সালে ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু এ স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে এসেছিলেন। এটাই ইতিহাস। যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশ, সেই দেশকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি পুনগঠন করেছিলেন এবং বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছিলো।তিনি বলেন, ওই যে পরাজিত শক্তি, শুধু পাকিস্তানিরা না। পাকিস্তানকে তখন কারা সহযোগীতা করেছিলো? পাকিস্তানিদের সহযোগীতা করেছিলো মদদ দিয়ে, অর্থ দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে। পাকিস্তানিদের পরাজয়ের যে গ্লানি তারই ফলশ্রুতিতে তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আর্ন্তজাতিক ও দেশিয় কিছু কুলাঙ্গার মিলে ওই রাজাকার আলবদরদে মদদে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তারা ভেবেছিলো, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেই বাংলাদেশকে আবারও পাকিস্তান বানানো যাবে এবং প রাজয়ের প্রতিশোধ নেয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত। এই খন্দকার মোস্তাক ও খুনি জিয়াউর রহমানরা শত শত মুক্তিযোদ্ধা অফিসারকে হত্যা করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষে যারা কথা বলেছে, তাদের ওপর নির্যাতন, অত্যাচার চালিয়েছে। একদিকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডটি যেমন আমাদের জন্য দু:সংবাদ ছিলো, তেমনি দেশের বাইরে থাকা তার দুই কন্যার বেঁচে যাওয়ার খবরটি ছিলো আমাদের জন্য সুখবর। তখন বঙ্গবন্ধুর আর্দশের সৈনিকদের একটাই দাবি ছিলো, সেটা হত্যা বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রাণে বেঁচে আছেন এ দেশের আপামর জনসাধারনের দোয়া ও মা-বোনদের দোয়ায়। তবে বলতে চাই, এখনও ষড়যন্ত্র হচ্ছে। তাই এ বঙ্গবন্ধুর ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকীর দোয়ার মঞ্চ দাঁড়িয়ে শপথ নিতে হবে, আমরা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ সকল অঙ্গসংগঠন নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। মাথায় রাখবেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন শক্তি নাই ষড়যন্ত্র করে আমাদের সামনে দাঁড়াতে পারে।
বক্তব্য শেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া শেষে দুস্থদের মাঝে বস্ত্র ও খাবার বিতরণ করা হয়।
সদর থানা কৃষক লীগের সভাপতি কাসেম স¤্রাটের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রানা আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব মো: শাহ জামাল খোকন, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজির উদ্দিন আহমেদ, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ, গোগনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: আজিজ মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক এবিএম আজহারুল ইসলাম, গোগনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো: ইব্রাহিম মোল্লা, সদর থানা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো: রফিক মেম্বার প্রমুখ।