হঠাৎ বাড়িয়ে দেওয়া দাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনার পর নড়াইলের কালিয়ায় তরমুজের দোকানে  অভিযান চালিয়েছে কালিয়া উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন তরমুজ ব্যবসায়ীকে ৬৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কালিয়া উপজেলা নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃনাজমুল হুদা  আজ বুধবার  দুপুরে শহরের পৌরবাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ব্যবসায়ী শরিফুল  ইসলামকে পাঁচ হাজার, মতিয়ার রহমানকে এক হাজার, হাসান শেখ কে পাঁচশত টাকা জরিমানা করা হয়। তাৎক্ষণিক সব জরিমানা আদায় করা হয়। নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মো.নাজমুল হুদা বলেন, ‘সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে তরমুজ কিনে ওজনে কেজি হিসেবে বিক্রি করেন। আমরা কাগজপত্র পরীক্ষা করে দেখেছি ফল আড়তের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী মণ ও পিচঁ হিসেবেই কিনে আনেন। কিন্তু কেজি প্রতি ৫০ টাকাও লাভ করেছেন কেউ কেউ। এদের তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে।’নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মো.নাজমুল হুদা আরো জানান, কৃষি বিপণন আইন ২০১৮ অনুযায়ী, ফলের ক্ষেত্রে কেজিতে ১০ টাকা লাভ করতে পারবেন, এমন বিধান রয়েছে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশনা আছে। কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকার বেশি লাভ করতে পারবেন না। আর কেজি বা পিস যেভাবে কিনবে সেভাবেই বেচতে হবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযানে পুলিশ সদস্য ছাড়াও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। রমজানের এক সপ্তাহ আগেও তরমুজ ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সে সময় তুলনামূলক বড় ও ভালো মানের তরমুজ ২৫থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। রমজান শুরুর আগেই দাম বেড়ে ৩৫-৪০-এ চলে যায়। এভাবে বাড়তে বাড়তে গত কয়েক দিন কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় দাঁড়ায়।

 

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ