টঙ্গীতে মোটর বাইক চুরির অভিযোগ এনে জোর পূর্বক টাকা আদায়ের অভিযোগ হাসপাতালের ২ আউটসোসিং কর্মচারীর বিরুদ্ধে
গাজীপুরের টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ভিতর থেকে চুরি যাওয়া মোটর বাইককে কেন্দ্র করে হাসপাতালের ওয়ার্ড মাষ্টার তৌহিদুল ইসলাম হৃদয় ও মাসুদ রানাসহ তার সহযোগীরা একই হাসপাতালের অপর কর্মচারী রেনুজা বেগমের ছেলেকে চোর সাজিয়ে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের অপর কর্মচারী রেনুজা বেগম ।জানা যায়, গত ১০ জানুয়ারী হাসপাতালের পুরাতন ভবনের নীচ থেকে হাসপাতালের আউট সোসিং কর্মচারী মাসুদ রানার (টিভিএস এপ্যাচি আরটিআর মডেল নং-২০১৯ গাড়ী নং ঢাকা মেট্রো -২৯৩১৪৪ নাম্বর) একটি মোটর বাইক চুরি হয়। এব্যাপারে মোঃ মাসুদ রানা বাদী হয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগপত্র নিয়ে রাতে মাসুদ রানা ও তৌহিদুল ইসলাম হৃদয়সহ একাধিক লোকজন সন্ধ্যা ৬ টায় লাঠি সোটা নিয়ে রেনুজার বাসায় গিয়ে রেনুজা ও তার পরিবারের লোকজনের প্রতি চড়াও হয় এবং রেনুজা বেগমকে বলে, তোর ছেলে বাবু মোটর বাইকটি চুরি করেছে, রাত ৮ টার মধ্যে মোটর বাইক বের করে দিতে হবে নয়তো বাইকের মূল্য বাবদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিতে হবে, নইলে ছেলে মারধরসহ বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখায়। এমতাবস্থায় বাইকের মালিক মাসুদ রানা ১১ জানুয়ারী মোটর বাইকের সন্ধান পায় এবং মোটর বাইকটি উদ্ধার করে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক বরাবর একটি লিখি আপোষনামা প্রদান করে দেন। আপোষ নামায় মাসুদ রানা স্বীকার করে বলেন, চুরি যাওয়া আমার মোটর বাইকটি সন্ধান পাই এবং উদ্ধার করি। আমার সাথে আরো লোকজন উপস্থিত ছিলো। এব্যাপাওে আমার কারো উপর কোন অভিযোগ নেই। সকল অভিযোগ আমি প্রত্যাহার করলাম। এদিকে রেনুজা বেগম কর্তৃক থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালের আউট সোসিং কর্মচারী ও ওয়ার্ড মাষ্টার তৌহিদুল ইসলাম হৃদয় ও মাসুদ রানাসহ অন্যান্যরা মিলে কৌশলে ১৩ জানুয়ারী রেনুজা বেগমের বাসায় গিয়ে হুমকি প্রদান করে জোর পূর্বক ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এব্যাপারে রেনুজা বেগম বলেন, উক্ত চুরি যাওয়া বাইকের কাগজপত্র এবং একটি আপোষনামা আমার নিকট দেয়। আমি আপোষ নামা পড়ে জানতে পারি গাড়ীটি উদ্ধার হয়েছে। আমি তৎক্ষণাৎ বিবাদীদ্বর নিকট আমার টাকা ফেরত চাই, তখন বিবাদীদ্বয় নানা তালবাহানা করে এবং হুমকি প্রদান করে চলে যায়। তাই আমি আমার আত্বীয়-স্বজনের সাথে পরামর্শ করে গত ১৬ ফেব্রুয়ারী টঙ্গী পূর্ব থানায় টাকা উদ্ধারের জন্য একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। ওয়ার্ড মাষ্টার তৌহিদুল ইসলাম হৃদয় বলেন, বিষয়টি উভয়ের মধ্যে আপোষ হয়েছে। আমি এখন ব্যস্ত আছি, বলে ফোনটি রেখে দেন।এব্যপারে বাইকের মালিক মাসুদ রানা বলেন, আমি এসব ব্যাপারে কিছু জানি না, হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার এবং তত্বাবধায়ক স্যারের পরামর্শ ক্রমে আমি একটি আপোষ নামা দিয়েছি, তবে টাকা বা মোটর বাইক কোনটাই এখনো আমি পাইনি।এবিষয়ে জানতে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পারভেজের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে উনাকে পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. জাহাঙ্গীর আলমের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমার কাছে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। আমি শুনেছি বিষয়টি মিমাংষা হয়েছে। এব্যাপারে ডা. পারভেজ বলতে পারবেন।