স্ত্রী হত্যার অভিযোগে দৈনিক ইত্তেফাক শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি অনুজ কান্তি দাস কে আটক করেছে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ।  শ্রীমঙ্গলে ওই সাংবাদিকের স্ত্রীর মৃত্যুতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড়ে সরব উপজেলাবাসী। প্রশ্ন উঠেছে এটি হত্যা না কি স্বাভাবিক মৃত্যু? এ প্রশ্নের উত্তর কেবল চূড়ান্ত তদন্তই একমাত্র ভরসা বলে অভিজ্ঞজনদের ধারণা।  জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলা শহরের পূর্বাশা আবাসিক এলাকার বাসিন্দা অনুজ কান্তির স্ত্রী অনিতা রানী দাসের মৃত্যুতে অনিতার বাবা কর্তৃক শ্রীমঙ্গল থানায় মারধর করে তাকে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ দায়ের করে। এরই প্রেক্ষিতে দ্রুত গ্রেফতার না করায় কয়েকদিন ধরে স্থানীয় জনমনে নানা ধরনের প্রশ্ন দানা বেঁধেছে।  এ বিষয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরা দ্রুত সংবাদ না করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ জনগণ বিরূপ মন্তব্য করে যাচ্ছে।  কেহ কেহ সাংবাদিকদের প্রতি আঙ্গুল তুলে হলুদ সাংবাদিকতার তকমা তুলতেও দ্বিধাবোধ করেনি।  শ্রীমঙ্গল থানায় দায়েরকৃত অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, মৃত অনিতা রানী দাস পিতা দিলীপ দাস গ্রাম মুরারআবদা বানিয়াচং হবিগঞ্জের সাথে শ্রীমঙ্গল নিবাসী অনুজ কান্তি দাশ পিতা নরেশ চন্দ্র দাস পূর্বাশা আবাসিক এলাকা শ্রীমঙ্গল এর সাথে ২০১৭ ইংরেজিতে ধর্মীয় বিধি মোতাবেক বিবাহ হয়।  মেয়ের বাবা অভিযোগ করেন বিবাহের পর থেকে অনুজ কান্তি দাস তার স্ত্রীকে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে।  অভিযোগে তিনি বলেন, অনুজ কান্তি দাস নেশা করে প্রায়ই তার মেয়েকে নির্যাতন করতো এবং নির্যাতনের কারণে তার মেয়ে মৃত্যুবরণ করেছে বলে তিনি দাবি করেন।  অপরদিকে অনুজ কান্তি দাস তা অস্বীকার করে বলেন, তিনি একটি অনুষ্ঠানে থাকাকালীন সময়ে ফোন পেয়ে দ্রুত বাসায় এসে স্ত্রীকে পড়ে মাথায় আঘাত পেয়েছেন জানতে পেয়ে প্রথমে শ্রীমঙ্গল পলি ক্লিনিক নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে পরে অবস্থার অবনতি হলে সিলেটের রাগীব-রাবেয়া প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  সেখানে ২৯ নভেম্বর সকাল দশটার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।  শ্রীমঙ্গল পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মৃত অনিতা রানী দাসের পিতা বাদী হয়ে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছে।  শ্রীমঙ্গল থানা মামলা নাম্বার ৩, তারিখ (৪ নভেম্বর)  অধিকতর তদন্ত করার জন্যই আজ তাকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। 

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ