দীর্ঘ দিন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন শাখা ২টি হত্যাকান্ডে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হলেও অবশেষে তা উদ্ধারে সফল হয় পুলিশের অপর শাখা সিআইডি।  সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, জয়দেবপুর থানার নান্দুয়াইন এলাকার মোছা. জয়মন নেছা নিজ ঘরে খুন হয় ২০১৩ সালে। নিহতের ছেলে মো. শাহজাহান মিয়া বাদী হয়ে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দাখিল করলে বাদীর ছোট স্ত্রী মোসা. খোরশেদা বেগম, ভাই মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. রেজাউল করিম, মো. মাজহারুল ইসলাম ও  মো. বাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার মূল কারণ উদঘাটনে ব্যর্থ হয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তারা। পরে আদালতের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় পিবিআইকে। তারাও পরবর্তী ২ বছর তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ উদঘাটনে ব্যর্থ হয়ে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। 
অবশেষে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (অপরাধ) ঢাকা, মো. মতিউর রহমান তদন্তকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মো. আবু সাঈদ, পিতা মো. আব্দুর রাজ্জাককে হত্যাকান্ডে সহযোগী মো. হামিদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে আসামী মো. আবু সাঈদ ও মো. হামিদুর রহমান জানান, টাকা চুরির সময় ঘুমন্ত বৃদ্ধা জয়মন নেছা জেগে উঠায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
অপর এক ঘটনায় জয়দেবপুর থানাধীন পালের পাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে সাহেব আলী কবিরাজ (৬৫) নামে একজনের অর্ধ-গলিত মৃত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের ছেলে মো. লাভলু হাসান বাদী হয়ে এঘটনায় মামলা দায়ের করেন। এ হত্যাকান্ডে ঘটনাটিও পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা শাখা দীর্ঘ দিন তদন্ত করলেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি তারা। পরে পুলিশ হেড কোয়াটার্সের নির্দেশে তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া সিআইডির পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. রেজাউল করিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাহেব আলী কবিরাজের তৃতীয় স্ত্রী মর্জিনা (৩০), রিনা আক্তার (২৪) ও আনোয়ারা বেগমকে (৫২) কে চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে গ্রেফতার করেন। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার হওয়া তিন জন সাহেব আলী ফকিরকে হত্যার পর লাশ গুমের বিষয়টি আদালতে স্বীকার করেন।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ