কেউ কারও ভাষা বোঝেন না, প্রেমে ‘গুগল’ই ভরসা
‘প্রেমের গাড়ি চড়ল ক’জনা…ও গাড়ি সিগন্যাল মানে না’। বাংলা ব্যান্ড ভূমির বিখ্যাত এই গানের লাইনটি মনে আছে! প্রেমের গাড়ি সিগন্যালও মানে না, ভাষাও বোঝে না। তা না হলে, কীভাবে আড়াই বছরেরও বেশি সময় ধরে একসঙ্গে রয়েছেন ব্রিটেনের শেলয় স্মিত ও ইটালির ড্যানিয়েল ম্যারিসকো। কারণ, তাঁরা দু’জনে তো একে অপরের ভাষার মাথামুন্ডু বোঝেন না। তবে কীভাবে তাঁরা একসঙ্গে রয়েছেন? সমস্যার সুরাহা করেছে ‘গুগল’ সফটওয়্যার ব্যবহার করেই চলছে এদের দাম্পত্য জীবন।
আড়াই বছর আগে ইবিজার একটি নাইট ক্লাবে ২৫ বছরের ম্যারিসকো-র সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ২৩-বছরের শেলয়ের৷ প্রথম দেখাতেই শেলয়কে ভাল লেগে যায় ম্যারিসকোর৷ মন গেয়ে ওঠে ‘এক লড়কি কো দেখা তো অ্যায়সা লাগা’৷ কিন্তু এই ভালবাসার মাঝে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাঁদের ভাষা। ইটালির একটি রেস্তরাঁর কর্মী ম্যারিসকো কথা বলেন শুদ্ধ ইটালিয়ান ভাষায়। আর শেলয়ের ভাষা ইংরেজি। তাঁরা কেউ কারও ভাষা বোঝেন না। কিন্তু দু’জন একে অপরকে অনেকটা ভালবাসেন কথাতেই আছে ‘ইচ্ছা থাকলেই, উপায় হয়’৷ ঠিক একটা যোগাযোগের নয়া মাধ্যম খুঁজে নেন এই যুগলও। ‘গুগল ট্রান্সলেটর’এর মাধ্যমে পরস্পরের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন শেলয় ও ম্যারিসকো। তাঁরা বলেন, ‘‘প্রথমে অন্যরা আমাদের পাগল ভাবত তাঁরা ভাবত কয়েকদিনেই আমাদের সম্পর্ক ভেঙে যাবে। কিন্তু আমরা পরস্পরের সঙ্গে ও পরস্পরের জন্য বাঁচতে চাই।’’ শেলয় বলেন, ‘‘ম্যারিসকোর সঙ্গে পরিচয়ের এক সপ্তাহ পর থেকেই ওর সঙ্গে বার্সেলোনায় এসে থাকতে শুরু করি। এটা আমার জীবনে নেওয়া সেরা সিদ্ধান্ত।’’ তবে আড়াই বছর পর ‘গুগল ট্রান্সলেটর’এর উপর নির্ভরতা অনেকটাই কমিয়ে এনেছেন শেলয় ও ম্যারিসকো। ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করেছেন পরস্পরের ‘প্রেমের ভাষা’৷