দক্ষিণ আফ্রিকায় গত ২২ নভেম্বর বিকেলে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি নাগরিক জামালপুরের মেষ্টা ইউনিয়নের মেহেদী হাসান তরুণের (৪৫) লাশ ঘটনার পনের দিন পর ৬ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশে আনা হয়। ৭ ডিসেম্বর দুপুরে তার গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মেষ্টা ইউনিয়নের দোয়ানিপাড়া গ্রামে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত মেহেদী হাসান তরুণ জামালপুর সদর উপজেলার মেষ্টা ইউনিয়নের দোয়ানিপাড়া গ্রামের আলহাজ মো. রেজাউল করিম ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা হাসনা হেনা দম্পতির ছেলে। তিনি দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবাসী হিসেবে সেখানে ব্যবসা করে বসবাস করছিলেন। গত ২২ নভেম্বর বিকেলে দক্ষিণ আফ্রিকার লিম্পুপো ও পুমালাঙ্গা প্রদেশের সীমান্তে সিয়াবুসেয়াত এলাকায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় তার দশ বছরের ছেলে জয় হাসানও গুলিবিদ্ধ হয়েছিল।
৭ ডিসেম্বর সকালে তার লাশ তার গ্রামের বাড়ি মেষ্টা ইউনিয়নের দোয়ানিপাড়া গ্রামে পৌঁছুলে পরিবারের সদস্যদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাকে একনজর দেখতে বিপুল সংখ্যক মানুষ ভিড় করেন। ৭ ডিসেম্বর বেলা পৌনে তিনটার দিকে তার নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় আত্মীয়স্বজন ও শোভাকাঙ্ক্ষীসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশ নেন।
জানাজা নামাজের আগে তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন তার মামা মুক্তিযোদ্ধা ফাররুখ আহমেদ ও মেষ্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হক বাবু, জামালপুর সদর আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রুহুল আমিন মিলন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চিকিৎসক এম এ মান্নান খান, প্রমুখ।
নিহতের সহোদর বড় ভাই দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী মাসুদ মেহেদী জানান, দুই দেশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে এবং তার স্ত্রীর সম্মতিতে বিশেষ বিমানে করে তার ভাইয়ের লাশ ৬ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশে আনা হয়। লাশের বহরের সাথে তার বিধবা স্ত্রী আছিয়া, ছেলে জয় হাসান (১০), মেয়ে শারমিন (৭) ও শাশুড়িও বাংলাদেশে এসেছেন। তারা বাংলাদেশে কিছু দিন থাকবেন।

 

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ