মুন্সিগঞ্জের টংগিবাড়ি উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দিঘিরপাড় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আরিফ হালদারসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন।শনিবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে ইউনিয়নের রাজারচর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য কবির হালদার  জানান, সকালের দিকে জমিতে কাজ চলছিল। এসময় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আব্দুল আলেম খাঁ ও তার লোকজন কাজে বাধা দেয়। ঘটনা শুনে দিঘিরপাড় ইউপি চেয়ারম্যান আরিফ হালদার ঘটনাস্থলে তার লোকজন নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান গ্রুপের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালায় খাঁ গ্রুপের লোকজন। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।চেয়ারম্যান আরিফ হালদার ও আওয়ামী লীগ কর্মী বাদশা হালদারকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি,হালদার গ্রুপের অন্য আহতরা হলেন- বাদশা (৩০), ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক পলক হাসান (২০), বাবুল (৪৫), সুজন খান (৪২), লুৎফর রহমান (৩৩), রুবেল (২২), অন্তর হালদার, মুরাদ হালদার, আজিজুল হালদার, স্বপন হালদার প্রমুখ।এদিকে খাঁ গ্রুপের আহত আ. রহমানের স্বজন লাবণী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। চেয়ারম্যান আরিফ হালদার এ জমি আত্মসাৎ করে দখল করে ভোগ করছেন। সকালের দিকে আলু রোপণের জন্য অস্ত্র নিয়ে আসে হালদার গ্রুপ। এসময় আব্দুর রহমান খাঁ ও মিজান খাঁ জমিতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের আঘাত করে গুরুতর আহত করে। তাদের দু’জনকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।এছাড়াও এ ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানাতে পারেননি লাবণী।টংগিবাড়ি দিঘিরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ঝিল্লুর রহমান বলেন, জমি নিয়ে হালদার ও খাঁ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আলেম খাঁ দলের নেতৃত্ব দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।এছাড়া কাউকে আটক করা যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। 

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ