আমতলীর দক্ষিণ আমতলী গ্রামের সৌদি প্রবাসী বেয়াই নজরুল ইসলাম খানের বাড়িতে বেড়াতে এসে খুন হলেন কলাপাড়া উপজেলার চালিতা বুনিয়া গ্রামের চম্পাপুর ইউনিয়নের মৃত চান মিয়া হাওলাদারের ছেলে আবুল হোসেন হাওলাদার (৬০)। সোমবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের চালিতা বুনিয়া গ্রামের মৃত চানমিয়ার ছেলে মো. আবুল হোসেন হাওলাদার তার স্ত্রী নার্গিস বেগমকে সঙ্গে নিয়ে দক্ষিণ আমতলী গ্রামের সৌদি প্রবাসী নজরুল ইসলাম খানের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। রাতে খাওয়া শেষে আবুল হাওলাদার ঘরের সামনে বারান্দায় এবং অন্যান্যরা ঘরের ভেতর ঘুমিয়ে পড়েন। আনুমানিক রাত ৩টার দিকে আবুল হাওলাদারের ডাক চিৎকার শুনে ঘরের ভেতরের লোকজন জেগে উঠে দেখেন ৩-৪জনের একদল দুর্বৃত্ত আবুল হাওলাদারকে ধারালো ছুড়ি দিয়ে পেটে এবং বুকে আঘাত করছে।  এসময় কিছু বুঝে ওঠার আগেই আবুল হাওলাদার রক্তাত্ব অবস্থায় অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পরেন। এসময় নজরুলের মেয়ে জেসমিন (২৪) চিৎকার দিলে তাকেও এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে আহত করে তারা। স্বজন এবং গ্রামবাসীরা খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আবুল হোসেন হাওলাদারকে অজ্ঞান অবস্থায় ও জেসমিনকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে যান। আহতদের অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় রাতেই আবুলকে বরিশাল শেবাচিম ও জেসমিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হচ্ছিল। তবে নেওয়ার পথে লেবুখালী ফেরিঘাট পৌঁছার আগেই রাত ৪টার সময় মারা যান আবুল। নজরুলের স্ত্রী রেখা বেগম বলেন, আনুমানিক রাত ৩টার দিকে ঘরের দরজা খোলার শব্দ পেয়ে উঠে এ ঘটনা দেখতে পাই। ধারণা করা হচ্ছে বাহির থেকে পরিচিতি কেউ ডাক দেওয়ার পর বেয়াই আবুল হাওলাদার দরজা খুলে দিয়েছেন। আবুলের স্ত্রী নার্গিস বেগম বলেন, এলাকায় আমার স্বামীর সঙ্গে যাদের জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে তারা এ ঘটনা ঘটাতে পারে। আমতলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিৎসক ও কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মিঠুন সরকার জানান, নিহত আবুল হাওলাদারের হাতে, বুকে এবং পেটে ছুরির আঘাতের চিহ্ন এবং জেসমিনের হাতে এবং শরীরেও ৪-৫টি ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমতলী থানার ওসি মো. আলাউদ্দিন মিলন জানান, লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা হবে।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ