শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং ইউনিয়নের আটি পাড়া সড়কের দুই পাশে, সদর উপজেলা কৃষি অফিস ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার সহায়তায় লাউ চাষে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে স্থানীয় চার কৃষক।  পতিত জমিতে লাউ চাষে ব্যাপক ফলন পাওয়ায় কম দামে তাজা লাউ কিনে খেতে পারছে স্থানীয় বাসিন্দারা, এতে চার গ্রামের মানুষের যেমন সবজির চাহিদা পূরণ করছে এবং অন্যেন্য বাজারে বিক্রি করে স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষকরা।সড়কের পাশে অনাবাদি পতিত জমিতে এভাবে সবজি চাষাবাদে স্থানীয় কৃষকদের মাঝে ধারনা দেন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দ্বীন ইসলাম।স্থানীয় কৃষক বিপ্লব কাজী, ফজলে খন্দকার,নূরুল ইসলাম ঢালী ও মকফর শেখ, উপসহকারী কর্মকর্তার পরামর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাস্তার পাশে খালের ধারে পড়ে থাকা অনাবাদী পতিত জমিতে লাউ চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়ে চাষীসহ স্থানীয় সকলেই খুশি।পতিত জমিতে লাউ  চাষী বিপ্লব কাজী বলেন,সদর উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় পতিত জমিতে লাউ গাছ লাগিয়ে আমরা প্রচুর ফলন পেয়েছি, আমাদের দেখে অনেকেই এভাবে ফেলে রাখা পতিত জমিতে চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছে ৷এবিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দ্বীন ইসলাম জানান, এভাবে রাস্তার ধারে খালের পাড়ে পড়ে থাকা বিভিন্ন ধরনের পতিত জমিতে সবজি চাষাবাদের পরামর্শ দিয়ে থাকি, এই আটি পাড়া সড়কে পাশে খালের ধারে প্রায় দেড় কিলোমিটারের মধ্যে চারজন কৃষকের মাধ্যমে জাল দিয়ে ঝাকা বানিয়ে লাউ গাছ লাগানোর ব্যবস্থা করেছি, অনেক লাউ ধরেছে কৃষক খুশি, এখন এই এলাকাসহ আশপাশের চার গ্রামের মানুষ কম দামে তাজা লাউ খেতে পারছে। এরকমভাবে রাস্তার পাশে সবজি প্রদর্শনী দিন দিন বাড়ানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাবে বলে জানান তিনি।এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অলি হালদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবেনা, তাই আমরা বিভিন্ন ইউনিয়নে রাস্তার ধারে, খালের পাড়ে সবজি চাষে চাষীদের উদ্বুদ্ধ করছি এবং  সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি সদর উপজেলার কোথাও যেনো এপতিত জমি পড়ে না থাকে।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ