মদনপুরের হুমায়ুন কবির যাকে নিয়ে নেতিবাচকতা ও রহস্যের বেড়াজাল
হুমায়ুন কবির ১২ নং মদনপুর ইউনিয়নের প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল রাশিদের ছেলে হুমায়ুন কবির। ডাকনাম কবির। সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অবসর পেয়েছেন।তার বর্তমান অবস্থান কক্সবাজার।নেত্রকোনার মদনপুরে তার পরিচিতি একজন বিত্তবান ব্যক্তি হিসেবে।অর্থের দাপট প্রকাশ করেন তিনি। কিন্ত জনমানুষের মধ্যে একই সাথে তাকে নিয়ে প্রশ্ন- এত সম্পদ কেমন করে হয়। সেনাবাহিনীর চাকরি করে এত সম্পদের মালিক হওয়া কি সম্ভব?-এ প্রশ্ন এলাকাবাসির কাছে। এলাকাবাসি জানান,তিনি মদনপুরে সময়ে সময়ে আসেন এলাকায় নিজের কৌশলী অবস্থান তৈরি করতে। মূলত কক্সবাজারে রয়েছে তার বিশাল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তার সম্পদ নিয়ে নেত্রকোনা এলাকাবাসির কাছে নানা রকম ধারণা এবং রহস্যময়তা রয়েছে। বিগত বছর দশেক সময় ধরেই তার নিজ এলাকা মদনপুরে সম্পদ বৃদ্ধি। বিভিন্ন সভা সমিতি ক্লাবে ও ব্যক্তি পর্যায়ে অনুদান প্রদান।নিজের পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা এবং এলাকায় প্রভাব বিস্তার করার জন্যে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক ব্যক্তি বর্গের সাথে সম্পর্ক বিশেষভাবে বজায় রেখে চলেছেন।দুই হাজার বিশ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী এলাকায় তার প্রয়াত বাবার নামে বিশাল ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন।যা এলাকায় কয়েকদিন ধরে মাইকিং ব্যনার পোস্টার করে ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়। এলাকাবাসির মধ্যে মাইকিং করে প্রচার করা হয় ফাইনাল ফুটবল টুর্নামেন্টে বিজয়ী দলকে সোনার হরিণ প্রদান করা হবে। কিন্তু ফাইনাল টুর্নামেন্টে পিতলের ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।এতে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।তার সম্পর্কে এমন নানা নেতিবাচকতা এলাকার মানুষেরা অবগত আছেন।চেক জালিয়াতি এবং জমি ক্রয় সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। তার ব্যবসা বানিজ্য সম্পদ এবং ক্ষমতার দাপট নিয়ে মদনপুরবাসীর মনে তার সম্পর্কে নানা সন্দেহ বিরাজমান। আমাদের মিডিয়ার বিশেষ টিম তার ব্যাপারে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। রহস্যের বেড়াজাল ভেদ করে নিশ্চয়ই সত্যনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে পাঠক আপনারা একজন হুমায়ুন কবির সম্পর্কে পরবর্তী ফলোআপ জানতে পারবেন।।