দিনাজপুরে শতাধিক ডিলারের অর্ধোকোটি টাকা নিয়ে আরএফএল কোম্পানির আরএস উধাও পরে আটক
দিনাজপুরের ১৩ থানা থেকে ডিলারের সাব ডিলার সহ বিভিন্ন দোকানদারদের কাছ থেকে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে কোম্পানির অ্যাকাউন্টে টাকা জমা না করে শতাধিক ডিলারের কাছ থেকে প্রায় অর্ধোকোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছিলেন আরএফএলএর নিযুক্ত এস আর মিলন আক্তার। পরে মিলনকে লোভ দেখিয়ে আবারো শহরের মডার্ন মোড় এলাকায় এনে তাকে আটক রাখা হয়। বিষয়টি সুরাহা করতে পাওনাদার কার্পেট হাউজের স্বত্বাধিকার সাইফুল ইসলাম, দোকানদার সাহাঙ্গীর. জাহাঙ্গীর. বাবুল ইসলাম. মমিনুল হকসহ, দোকানদাররা কোম্পানির লোককে খবর দেয় পরে কোম্পানির লোকজন
গিয়ে তাদের আশ্বস্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু কোম্পানি লোকজন উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের কথা বলে সঠিক সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্ত দিতে না পারায় তাদেরকেও আটক করে রাখা হয় । আটককৃতরা হলেন আরএফএল কোম্পানির জোনাল ম্যানেজার আব্দুল জলিল, বিভাগীয় কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন. সিনিয়র ম্যানেজার আব্দুল মজিদ. এডভাইজার আসাদ।
বিষয়টি জানাজানি হলে শতাধিক ডিলার দোকানদাররা এসে কোম্পানির লোককে ঘিরে ফেলেন পরে সারারাত চলে দেন দরবার।
ভুক্তভোগী ডিলার ও দোকানদাররা জানান মো.মিলন আক্তার দীর্ঘদিন ধরে আরএফএল কোম্পানির এস আর হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি ডিলার সাব ডিলার দোকানদারদের অধিক মুনাফার সহযোগিতা করার কথা বলে তাদের জমাকৃত টাকা নিজের কাছে রেখে ব্যাংকের সিল-স্বাক্ষর মেরে রিসিভ কপি গ্রাহককে দিয়ে দিতেন। আবার ওইসব গ্রাহকেরা টাকা উত্তোলন করতে আসলে চেক নিয়ে নিজের কাছ থেকে টাকা দিয়ে দিতেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ,এভাবে অনেক ডিলারের লাখ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা রাখার কথা বলে অ্যাকাউন্টে না দিয়ে নিজেই আত্মসাৎ করেছেন এস আর মিলন। আরএফএল কোম্পানির ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অর্ধকোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের। তারা বলেন কোম্পানির এমডির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সবার চোখের সামনে অপকর্ম চালিয়ে যেতেন। এস আর মিলন আক্তার গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের বিষয়টি স্বীকার করেছেন
তিনি বলেন, ব্যাংকের নকল সিল তৈরি করে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তিনি কোম্পানির এমডির আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সবাইকে জিম্মি করে অপকর্ম করেছেন।