বন্যা ও আপৎকালীন বীজতলা তৈরিতে চিন্তিত হয়ে পড়েন কৃষকরা। কৃষকের এই চিন্তা দূর করতে ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। তাই বন্যার পানি ও পুকুর-নদীতে এখন থেকে তৈরি করা যাবে এই বীজতলা।

ফেনীর দাগনভূঞায় পরীক্ষামূলকভাবে উপজেলার ইয়াকুবপুরে ভাসমান বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। ইয়াকুবপুরের কৃষক নুর ইসলাম ভাসমান বীজতলা তৈরি করেছেন।

কৃষক নুর ইসলাম জানান, প্রথমে পানিতে কলার ভুরা দিয়ে বেঁধে তারপর ওপরে কচুরিপানা দিয়ে গ্যাপ পূরণ করার পর মাটি সমান করে বীজ ছিটিয়ে দিতে হয়। ১৫ থেকে ২০ দিনে চারা পরিপূর্ণতা লাভ করে।

দাগনভূঞা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের দুধমুখা বোর্ড অফিসসংলগ্ন এলাকায় এ বীজতলা তৈরি করা হয়। মূলত বন্যা ও আপৎকালীন সময় ভাসমান বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বীজ সংকট মেটায়।

দাগনভূঞা উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, এ বছর পরীক্ষামূলকভাবে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ২০ দিনে পরিপূর্ণ চারা তৈরি হয়েছে এবং রোপণের উপযুক্ত হয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাফিউল ইসলাম জানান, সরকারি সহায়তায় ভাসমান বীজতলার এ ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এবার উপজেলা ইয়াকুবপুর ইউনিয়নে পরীক্ষামূলকভাবে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। আগামীতে উপজেলার সব ইউনিয়নে করা হবে।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ