মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গনধর্ষণ মামলার পলাতক আরোও ২জন আসামী গ্রেফতারশুক্রবার (১৪এপ্রিল/২৩ইং)  ইফতারের পর হাদিয়া বেগম সিলেট গোয়ালা বাজার হতে কুলাউড়ার শ্রীরামপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাড়ির জন্য অপেক্ষারত ছিলেন। তখন আসামী সেলিম হাদিয়াকে মৌলভীবাজার চাঁদনী ঘাটে কুলাউড়ার বাসে তুলে দেওয়ার কথা বলে তাহার সিএনজিতে উঠায়। আসামী সেলিম ভিকটিমকে কথা মতো চাঁদনী ঘাটে না নিয়া কৌশলে রাত আনুমানিক ০৮.৩০ ঘটিকায় শ্রীমঙ্গলের ভৈরবগঞ্জ বাজারে নিয়ে মাজদিহি উদারপারে থাকা ০৫জন আসামী ভিকটিমকে মাজদিহি চা বাগানে নিয়া রাত অনুমানিক ৯টা হতে ১০.৩০টা পর্যন্ত জোর পূর্বক ভাবে পালাক্রমে ধর্ষন করে। শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ'র সার্বিক দিক নির্দেশনায় মামলার তদন্তকারী অফিসার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) এ.কে.এম ফজলুল হক অন্যান্য অফিসার ফোর্সের সহায়তায় ঘটনার পরপর তাৎক্ষনিক ভাবে অভিযান পরিচালনা করিয়া সিএনজি চালক আসামী সেলিম ও হৃদয় নুনিয়াকে গ্রেফতারকরে বিজ্ঞ আদালতে সৌপর্দ করেন। আসামী হৃদয় নুনিয়া ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জের দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) পলাতক ০৪ আসামীকে ধরতে অভিযান অব্যহত রাখেন। এবং রবিবার রাতে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান ও ১ নং আসামী শ্রীমঙ্গলের মাজদিহি এলাকার মৃত রাজ্জাক মিয়ার পুত্র শহীদকে রাজনগরের জালালপুর এলাকা হতে ও সোমবার ভোরে ২ নং আসামী একই এলাকার ফয়রাজ মিয়ার পুত্র ফয়েজ মিয়াকে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার চৌমুহনী হতে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতদের যথাযথ আইনি পক্রিয়ায় বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়।শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার জানান, উক্ত মামলায় জড়িত মোট ০৬জন আসামীর মধ্যে মূল আসামীসহ ০৪জন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়। বাকি অপর ০২ জন পলাতক আসামীকে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ