গাজীপুরে ধর্ষণের শিকার কিশোরী ৩ দিনের শিশু সন্তান নিয়ে থানায় হাজির
গাজীপুর মহানগরের পূবাইলে জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার কিশোরী এখন এক ছেলের কুমারী মাতা।ষাটউর্ধ বয়সের ধর্ষনকারী মনির হোসেন ঠিকাদার এখন বাড়ি ছেড়ে উধাও হয়ে গেছে।ধর্ষণকারীর স্ত্রী, নাসরিন ও সুমি দুই মেয়ে, কুমারী মাতার পরিবারকে বার বার ভয়ভীতি প্রদর্শন ও এলাকা ছাড়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে অনবরত। উপায়ান্তর না দেখে ধর্ষণের শিকার কিশোরী ৩ দিনের শিশু সন্তান নিয়ে পূবাইল থানায় হাজির হয়েছে বিচারের আশায়। জানা যায়,বৃহস্পতিবার বিকালে মানষিক ভারসাম্যহীন হয়ে উপায়ন্তর না দেখে অষ্টম শ্রেণির মাদরাসা পড়ুয়া কিশোরী কুমারী মাতা ৩ দিনের ছেলে সন্তানকে কোলে নিয়ে পূবাইল থানায় হাজির হয়েছেন সপরিবারে। কুমারী মাতার বাবা বাদশা মিয়া বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। অন্যদিকে মামলা তুলে নিতে স্থানীয় ও প্রভাবশালী ধর্ষণকারী মনিরের আত্মীয় স্বজনরা অসহায় দিনমজুর ভিকটিমের বাবা বাদশা মিয়াকে নানাভাবে হুম-দমকি দিয়ে যাচ্ছে।মুখুশ ধারী নামীদামী লোকের বিরুদ্ধে এমন কলংকজনক ঘটনা এলাকায় নিন্দার ঝড় বইছে। এলাকার সাধারণ জনগণ অনেকেই এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এমনি চাঞ্চল্যকর ও নেক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে পূবাইল থানার ৪২ নং ওয়ার্ডের করমতলা এলাকার বিল্লাল মোল্লার ভাড়াটিয়া বাড়িতে।ধর্ষকারী মনির একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।ভিকটিমের বাবা বাদশা ওরফে ফকির মিয়া (৬২) জামালপুর জেলার মেলান্দহ থানার সাল নয়ানগর গ্রামের বাসিন্দা।দীর্ঘ ১১ বছর ধরে পূবাইলের করমতলা এলাকায় ভাড়া থেকে দিনমজুরের কাজ করে আসছেন।ঘটনা ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,ঠিকাদার মনিরের বড় মেয়ে নাসরিন ভিকিটমদের পাশের রুমে ভাড়া থাকার সুবাদে মেয়েকে দেখার অজুহাতে প্রায়ই ওই বাসায় আসা যাওয়া করতো মনির।মনিররের ওই মেয়ের জামাই প্রবাসে থাকায় ভিকটিমের মা-বাবার অনুমতি নিয়ে গত কোরবানির ঈদের আগে মেয়ে নাসরিনের সাথে রাত কাটাতে দেয় কিশোরীকে। কিন্তু লম্পট মনির নিজের মেয়ে নাসরিনের সহযোগিতায় কিশোরীকে ডেকে এনে নিজের মেয়েকে ঘর থেকে বের করে- নিজেই মেয়ের ভাড়া বাসার বাথরুমে পালিয়ে থাকে।কিশোরী ঘরে প্রবেশ করার সাথে সাথে ওতপেতে থাকা মনির তাকে মুখে কাপড় চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ঈদের পরের দিনও একই ভাবে ধর্ষণ করে।কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। কিশোরী দীর্ঘ দিন যাবত কাউকে কিছু না বলে স্থানীয় একটি ফ্যাক্টরিতে চাকুরি নেয়। যেখানে প্রতিদিনই রাতে ডিউটি করতে হয়।আর দিনে স্থানীয় একটি মাদরাসায় অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত থাকে ফলে ৭-৮ মাস গোপনীয় থেকে বিষয়টি। গত সপ্তাহে সবেবরাত রাতে মা-বাবাকে ঘটনা খুলে বললে বিষয়টি জানাজানি হয়।গত রোববার সকালে কুমারী কিশোরী নির্ধারিত সময়ের আগেই একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম দেয়। বাচ্চা মেয়েটির কোলে বাচ্চা সন্তানটি দেখে অনেকেই হতবাক,বাকরুদ্ধ ও হতবম্ব হয়ে যায়।পূবাইল থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, মামলা হয়েছে ও আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।