কিশোরগঞ্জের ভৈরব প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক এস এম বাকী বিল্লাহসহ ৫ জন নামধারী সাংবাদিক ও ২৪ জন অসাংবাদিক সদস্যকে অবৈধ ঘোষনা করতে কিশোরগন্জের যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। ১৫ মার্চ বুধবার  এই মামলাটি দায়ের করেছেন ভৈরব প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর এবং যমুনা টিভির স্থানীয় প্রতিনিধি সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক। মামলায় অভিযুক্ত অন্যান্য সাংবাদিকরা হলো প্রেসক্লাবের নামধারি সাংবাদিক সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন, আবদুল হাকিম ও মনিরুজ্জামান ময়না। এছাড়া প্রেসক্লাবের অসাংবাদিক সদস্যরা হলেন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ বুলবুল আহম্মদ, রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ কে এন এম জাহাংগীর, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল বিভাগের মেডিকেল টেকনলজিস্ট মোঃ এমদাদুল হক, সরকারী হাজি আসমত কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আরবুজ্জামানআপন,একই কলেজের প্রভাষক মোঃ সেলিম মিয়া, প্রদর্শক মোঃ শওকত আলী, সরকারী জিল্লুর রহমান মহিলা কলেজের প্রভাষক মোঃ শামীম আহমেদ, প্রভাষক মোঃ রফিকুল হক, প্রভাষক শাহজাদা মারুফ, প্রভাষক একেএম হাবিবুর রহমান, প্রভাষক মোঃ আরফানুর রহমান, প্রভাষক মোঃ শামসুর রহমান, প্রভাষক বিএম ইলিয়াস কাঞ্চন, প্রদর্শক মোঃ ফজলুল হক, একই কলেজের হিসাব রক্ষক মোঃ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, কুলিয়ারচর সরকারী ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম, প্রভাষক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ভৈরব সরকারী কেবি পাইলট মডেল হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক জয়নাল আবেদীন লিটন, সহকারী শিক্ষক মোঃ আলকাছ আল মামুন, সহকারী শিক্ষক মোঃ সিদ্দিকুর রহমান ভূঁইয়া, সহকারী শিক্ষক মোঃ ফজলুর রহমান, হাজি আসমত আলী প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, ঢাকা অফিসে কর্মরত সহকারী অধ্যাপক ডঃ মনিরুল হক শাকিল ও আয়কর বিভাগের আপীল বিভাগে ঢাকায় কর্মরত কম্পিউটার অপারেটর ইসতিয়াক আহমেদ রিগান।মামলার বাদী সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক এর অভিযোগ ভৈরব প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অমান্য করে অভিযুক্ত ৫ জন নামধারি সাংবাদিক ক্লাবের সাধারণ (সাংবাদিক) সদস্য পদে অবৈধভাবে বহাল রয়েছেন। প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তারা বর্তমানে সাংবাদিক সদস্য থাকার এখতিয়ার নেই। একই অভিযোগে অপর তিনজন নামধারি  সাংবাদিককে মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।এছাড়া মামলায় অভিযুক্ত অসাংবাদিক ২৪ জন  সদস্য প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সরকারি চাকরি করছেন। তারা কেউ কেউ সরকারী প্রতিষ্ঠানের  চিকিৎসক,অধ্যাপক বা প্রভাষক,সহকারী শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষক ও সরকারী কর্মচারি। সরকারী চাকুরি বিধিমালা মোতাবেক তারা ২৪ জন সাংবাদিক সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ ভৈরব প্রেসক্লাবের সদস্যপদ লাভ করা ও নির্বাচনে ভোট দেয়ার  আইনগত কোন সুযোগ নেই। কিন্ত গত ২৪ ফেব্রুয়ারী প্রেসক্লাবের নির্বাচনে তারা অনেকেই ভোট প্রদান করেছেন যা সম্পূর্ন বেআইনি এবং আইনের লংঘন হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।শুধু তাই নয় ভৈরব প্রেসক্লাব গঠনতন্ত্রের তৃতীয় সংশোধনীর অনুচ্ছেদ/ধারা অনুযায়ী সাধারণ (সাংবাদিক)সদস্য সঠিকভাবে নির্ধারণ না করে  ক্লাব কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছেন যা মামলায় বলা হয়েছে। এসব কারণে ভৈরব প্রেসক্লাবের প্রকৃত সাংবাদিক সদস্যরাসহ বাদীর অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়েছে বলে মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে। অপরদিকে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ভবিষ্যতে সাংবাদিক সদস্যদের ভোটে সাংবাদিকের ১৬ টি পদে ভোট প্রদান বিষয়টি কার্যকর করার জন্য আদেশ দিতে বাদী আবেদন করেছেন আদালতে। এবিষয়ে মামলার বাদী সাংবাদিক আসাদুজ্জামান ফারুক বলেন, প্রেসক্লাবের সদস্য ৫ জন অভিযুক্ত নামধারি সাংবাদিক ক্লাবের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাংবাদিক সদস্য পদে বহাল থাকতে পারেন না। অপরদিকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হয়ে সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে ২৪ জন প্রেসক্লাবের অসাংবাদিক সদস্য হয়েছে এবং নির্বাচনে প্রার্থীকে ভোট দিয়েছে যা সরকারী আইনের লংঘন করেছে তারা। আমি ভৈরব প্রেসক্লাবের বৈধ সাংবাদিক সদস্য হিসেবে এবং ক্লাবের অন্যান্য বৈধ সাংবাদিকদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রতিকার চেয়ে আদালতের আশ্রয় নিয়ে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করেছি।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ