জননীর কাছে সবার আছে জন্মঋণ, জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতায় অংশ নিন।' এই শ্লোগান নিয়ে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসকে জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হয়। সমাজের যে অংশের মহিলারা এতে প্রধানত আক্রান্ত হয়, তাদের মধ্যে রোগটি নিয়ে সচেতনতার অভাব প্রচন্ড। বিষয়টি নিয়ে লজ্জা- সংকোচ  তাদের বিরত রাখে পরীক্ষা- নিরীক্ষা ও চিকিৎসা মুখি হতে। নিম্ন আর্থ-সামাজিক অবস্থাও বড় বাধা। স্তন ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতায় ইতোমধ্যে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। পাশাপাশি এগিয়ে নেয়া দরকার জরায়ুমুখের ক্যান্সার নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস। প্রতিবছর জানুয়ারি মাসকে জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা মাস হিসেবে পালন করা হয়। ২০১৮ সাল থেকে জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় শনিবার জরায়ুমুখে ক্যান্সার সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। গতকাল বিকালে কুষ্টিয়া এনএস রোডে ডা: তোফাজ্জেল হেলথ সেন্টার ও সাফ‘র আয়োজনে জরায়ুমুখের ক্যান্সার সচেতনতা দিবস উপলক্ষে জননীর জন্য পদযাত্রা ও লিফলেট ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। সাফ‘র নির্বাহী পরিচালক মীর আব্দুর রাজ্জাক‘র পরিচালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা: লিজা-ডা: রতন ম্যাটস‘র চেয়ারম্যান ডা: আসমা জাহান লিজা ও প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা: এএফএম আমিনুল হক রতন। ডাক্তার মহোদয় বলেন “প্রতিরোধ নিরাময়ের চেয়ে ভাল” জরায়ুমখের ক্যান্সার প্রতিরোধে তাই আমাদের কিশোরী কন্যাদের এইচপিভি টিকা দেওয়া উচিত। লিফলেটে বিস্তারিত আছে আপনারা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পড়বেন এবং মা বোনদের সচেতনতাবোধ জাগ্রত করার জন্য উৎসাহিত করবেন। যে লজ্জায় ক্ষতি হয়, সেই লজ্জা আর নয়। মেয়েদের লজ্জার অচলায়তন ভাঙ্গার মাধ্যমে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা অনেকাংশেই সম্ভব।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ