ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ শাহ আলম মোল্লা সরকারি চাকুরির বিধিমালা ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগ নেতাকে মাল্যদান করার অভিযোগ উঠে। আওয়ামীলীগ নেতাকে সরকারি কর্মকর্তার ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময়ের ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় নেটিজেন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। মঙ্গলবার রাতে ভৈরব উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ও নবনির্বাচিত কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ ১২নং ওয়ার্ড সদস্য জাকির হোসেন কাজলকে ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ সায়দুল্লাহ মিয়াকে ওসি ফুলের মালা ও তোড়া দিয়ে অভিনন্দন জানানোর একাধিক ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, ১৮অক্টোবর মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কিশোরগঞ্জ জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ে ভৈরব-১২নং সদস্য পদে লটারিতে নির্বাচিত হওয়ার ৮ঘন্টা পর ওইদিন মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৮টায় ফুলের তোড়া ও মালা নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের বাসভবনে যান পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো: শাহ আলম মোল্লা। এসময় তিনি নবনির্বাচিত কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ (ভৈরব) ১২নং ওয়ার্ড সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা জাকির হোসেন কাজলকে প্রথমে মাল্যদান ও ফুলের তোড়া দিয়ে শুভাচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এরপরে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি আলহাজ্ব মো: সায়দুল্লাহ মিয়াকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। ওই সময় ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মোঃ শহীদুল্লাহ কায়সার, পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম শিমুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মো: শাহ আলম মোল্লার বিতর্কিত দলীয় এ কর্মকান্ড বাংলাদেশের সুশৃংখল পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করেছে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের লোকজন। এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা ও ক্ষোব্দ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি একাধিক কর্মকতা বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা কোন ভাবেই একজন জনপ্রতিনিধিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন না। ফেসবুকে পুলিশ পরিদর্শকের ফুল দেয়ার ছবি দেখে অবাক হয়েছি।ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ শাহ আলম মোল্লার সাথে এবিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, ফুলের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য শেষ মুহূর্তে যোগদান করেছেন তিনি। ফুল নিয়ে আওয়ামীলীগ নেতার বাসভবনে যাওয়ার বিষয়ে আগে থেকে তিনি কিছুই জানেন না।কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার শেখ রাসেল মুঠোফোনে এ বিষয়ে বলেন, এমনটি না হওয়া উচিত। কেউ যদি ভালো কাজ করে অভ্যর্থনা জানাতেই পারে। এক পক্ষকে যদি ফুল দেয়, তাহলে অপর পক্ষকে সমাবেদনা জানানো উচিত ছিলো। তাহলে তেমন অসুবিধা ছিলো না। যদি বিভাজনমান দুটি পক্ষ থাকে, তাহলে কারো পক্ষেই যাওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন তিনি।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ