টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পৌলী নদীর তীরে ইউএনও'র তত্বাবধানে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে গৃহহীনদের জন্য আবাসন আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের কাজ।জানা যায়, উপজেলায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় কালিহাতী উপজেলার পৌলী এলাকায় নদীর দক্ষিণ পাড়ে সরকারের দেড় একর খাস জমিতে ঘর নির্মাণের সিদ্ধান্তে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা সহকারি কমিশনারের (ভূমি) সমন্বয়ে স্থান নির্বাচন করা হয়। প্রকল্পের ওই স্থানটি নিচু হওয়ায় বালু দিয়ে ভরাট করে আশ্রয়ণ প্রকল্প তৈরীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবেনা’ প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিত করতে উপজেলার পৌলী এলাকাতেও গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অত্যন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের এ নির্মাণ কাজ। পৌলী এলাকার সুজন মিয়া ও সাইফুল ইসলাম জানান, অনুমতি সাপেক্ষে আমরা বালু উত্তোলন করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গা ভরাটের কাজ সঠিকভাবে সম্পন্ন করেছি। তবে একটি বিষয়, প্রশাসনের জায়গা ভরাটের কাজের মধ্যেও বহিরাগত কুচক্রি একটি মহল সরকারি কাজে বিঘ্ন ঘটানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এলেঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র সুকুমার ঘোষ বলেন, সরকার এলেঙ্গা পৌরসভার পৌলী এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করছেন। প্রশাসক নিয়মিত কাজের তদারকি করছেন। যেহেতু পৌরসভায় আমার ৮নং ওয়ার্ডে প্রকল্পটি হচ্ছে সেহেতু আমিও স্ব উদ্যোগে কাজের নিয়মিত দেখাশোনা করছি। কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হুসেইন জানান, পৌলীতে সরকারি খাস জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের ঘর নির্মাণ চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত ৬টি ঘর নির্মাণও হয়েছে। এখানে আরো ২০-৩০টি ঘর নির্মাণ করার ইচ্ছা আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আমরা অনুরোধ করেছিলাম। সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে তাদের কাজ শেষে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফ্রিতে মাটি ভরাট করে দিয়েছেন। ওইখানে রাস্তাটি আমরা করে দিতে চেয়েছি। এখানে মাটি বিক্রির কোন বিষয় নেই।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ