টাঙ্গাইলের কালিহাতীর সহদেবপুর ইউনিয়নের আকুয়া গ্রামে সরকারি খনন প্রকল্পের উত্তোলন করা বালু রাতের আধাঁরে বিক্রির অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ভুক্তা গ্রামের তোফাজ্জলের বিরুদ্ধে।  সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তারা লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এতে করে সহজেই ওই প্রভাবশালী মহলটি বনে যাচ্ছে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ। অন্য দিকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনকে জানিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।স্থানীয়রা জানান, বালু বিক্রির কারণে নদী পাড়ের কয়েকশত বসতবাড়ি ও শহর রক্ষা বাঁধ হুমকির মুখে রয়েছে। এছাড়াও অভিযোগ রয়েছে, আকুয়া গ্রামের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি রাতের আধারে বালু বিক্রির কাজে ব্যবহৃত ট্রাক চলাচলের ফলে রাস্তাটির বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয়রা বালু উত্তোলনে বাধা দিলেও তাদের নানাভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, উপজেলার আকুয়া এলাকায় সরকারি খনন প্রকল্পের বালু থেকে ভুক্তা গ্রামের তোফাজ্জল ও সহদেবপুর ইউনিয়নের যুবলীগের নেতা এশিয়া পরাণ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এক মাস যাবত রাতের আঁধারে অন্যত্র বালু বিক্রি করছেন। তাদের অবৈধ বালু বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়রা আরও জানান, তোফাজ্জল মিয়া প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবত মাটির ব্যবসা করে আসছেন। এলাকার কেও বাঁধা দিলে তাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখানো হয়। বালু বিক্রির বিষয়ে তোফাজ্জল মিয়ার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাওয়া হলে তিনি ফোন কেটে দেন। তারপর তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও আর রিসিভ করেননি। কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল হুসেইন জানান, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে। কেও যদি বালু বিক্রি করে থাকেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ