স্ত্রীর মর্যাদা না দেওয়ায় গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাছির উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে কোনাবাড়ি থানায়  অভিযোগ দায়ের করেন তার তৃতীয় স্ত্রী নাছিমা (ছদ্মনাম)। বৃহস্পতিবার রাত দশটা (১৫ সেপ্টেম্বর) সময় কোনাবাড়ি থানায় এ অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী।কোনাবাড়ী থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জুন পারিবারিক ভাবে কাউন্সিলর নাছিরউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ৫ লাখ টাকায় কাবিন মূলে বিবাহ হয়।বিবাহের পর নাছির উদ্দীন  মোল্লা তাঁর নিজ বাড়িতে না নিয়ে পুরো ঘটনাটি গোপন রেখে ওই নারীর বাবার বাড়িতেই স্ত্রীকে রেখে দেয়। এরপর থেকে তাঁকে পুরোপুরি স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে ওই  মাঝে মধ্যে বাহিরের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে রাত্রী যাপন করে।অভিযোগে আরো জানায়, বিবাহের পর থেকেই ঠিকমত স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে কারণে-অকারণে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভাষায় বকাঝকা ও ঝগড়াসহ তালাক দেয়ার হুমকী দেয় ওই কাউন্সিলর। গতকাল বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যা ৭টার দিকে অভিযুক্ত নারীকে মোবাইল ফোনে কোনাবাড়ি পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় দেখা করতে বলেন কাউন্সিলর নাছির উদ্দীন মোল্লা।তার কথামতো ওই নারী কোনাবাড়ি পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় আসলে অচেনা একটি গ্যারেজে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কয়েকটি চর-থাপ্পর মারেন তিনি ।পরে ওই নারীর ডাক চিৎকার শুনে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে কাউন্সিলর নাছির চলে যায়।ভুক্তভোগী বলেন, বিবাহের পর থেকে দুই-তিন সপ্তাহ পর পর কাউন্সিলর নাছির উদ্দীন তাঁর বাসায় যেতেন। এসবের প্রতিবাদ করলে ওই নারীকে ধৈর্য ধরতে বলেন। সবকিছু ঠিকঠাক করে দিবেন বলেও আশ্বাস দেন।তিনি আরো বলেন, বিবাহ করার পরেও অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গে মেলামেশা করতো সে। তিনি জানান, টাঙ্গাইলের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গেও দীর্ঘদিন ধরে মেলামেশা করে আসছে নাছির। জানা গেছে, প্রবাসীর ওই স্ত্রী তিনি বিউটি পার্লারের ব্যবসা করতেন।এছাড়াও  তাকে কালিয়াকৈরের আনন্দ পার্ক, সালনার পার্কসহ অনেকগুলো রিসোর্টে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে হাতে নাতে ধরেছেন বলে জানান।এবিষয়ে জানতে ওই কাউন্সিলরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সিদ্দিক জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ