বরিশালের উজিরপুর কচুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ফরম ক্রয়ে বাঁধা, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কমিটি গঠনসহ বিভিন্ন দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ পত্র দায়ের করেছে ভূক্তভোগীরা।অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শোলক ইউনিয়নের কচুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হলে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার সুমন চৌধুরী প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করে। ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের জন্য ৯ মার্চ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করা হয়। ১৪ মার্চ থেকে ১৬ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র গ্রহন ও জমাদান, ১৭ মার্চ বাছাই, ২০ মার্চ মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার এবং ১ এপ্রিল নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা হয়। কিন্তু ঐ বিদ্যালয়ের সদ্য বিদায়ী ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জামাল হোসেন মুন্সি (বর্তমান ইউপি সদস্য) তার ক্ষমতার দাপটে পুনরায় সভাপতি হওয়ার জন্য প্যানেল করে ৫জনের মনোনয়ন পত্র বিক্রি ও জমা প্রদান করান।

অভিযোগ উঠেছে মনোনয়ন পত্র গ্রহন ও জমাদানের ১৪,১৫ ও ১৬ তারিখে অভিভাবক সদস্য মোঃ শাহিন আকন, আদম আলী বালী, বি.এম মনিরুজ্জামান, ফজলুল হক, সালমা বেগম, সাইদুর রহমান, আক্তার মাহামুদ, নাসির বালী, শাহজাহান আকন, রিপনসহ অনেকেই মনোনয়ন পত্র ক্রয় করতে গেলে ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধ্রবনাথ কর্মকার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জামাল হোসেন মুন্সি উপস্থিত থেকে কাউকে ফরম কিনতে দেয়নি এবং বাধা প্রদান করে।
এ ব্যাপারে মোঃ শাহিন আকন জানান, তাকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ফরম ক্রয় করতে গেলে তাকে ৫জনের ফরম কেনা বাবদ ১০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। আদম আলী জানান, ১৫ তারিখ ফরম ক্রয় করতে গেলে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ফরম বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানান। ফজলুল হক বলেন, তাকে ফরম দেওয়া হয়নি। সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক আর কোন ফরম বিক্রি হবে না বলে জানান। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগীরা ২৭ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ পত্র দায়ের করে। এই অভিযোগ পত্রের খবর জানতে পেরে তড়িঘড়ি করে প্রিজাইডিং অফিসার সুমন চৌধুরীর নেতৃত্বে নির্ধারিত ১ এপ্রিল কাউকে না জানিয়ে গোপনে কমিটি চূড়ান্ত করে ৫জনকে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত ঘোষনা করেন। এমনকি তাৎক্ষণিক ঐ কমিটির সভাপতি মোঃ জামাল মুন্সি পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারিহা তানজিন জানান, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্তের জন্য মাধ্যমিক  শিক্ষা অফিসারকে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদ হোসেন জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪ এপ্রিল অভিযোগকারীদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। প্রিজাইডিং অফিসার সুমন চৌধুরী জানান, আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ধ্রুবনাথ কর্মকার জানান, ফরম বিক্রি না করার বিষয়টি সঠিক নয়। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জামাল হোসেন মুন্সি জানান, কাউকে ফরম ক্রয়ে বাধা দেওয়া হয়নি।

এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজ

সর্বশেষ